Press "Enter" to skip to content

আবারও পুকুর ভরাটের অভিযোগ, তদন্তে এলাকায় পুরনিগম, পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা : আসানসোল পুরনিগমের বিভিন্ন এলাকার একাধিক পুকুর বেআইনিভাবে ভরাট করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার সেই পুকুর ভরাটের পরে বড় বড় বাড়িও হয়ে গেছে বা হচ্ছে বলে অভিযোগ জমা পড়েছে ।

এমনই একটি অভিযোগ পাওয়ার পরে আসানসোলে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ফরচুন পার্ক এবং পলাশডিহা সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন পুলিশ, পুরনিগম, বিএলআরও সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তারা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা ঘুরে ঘুরে তদন্তও করেন।

ফরচুন পার্ক এবং পলাশডিহি এলাকায় তদন্ত শেষে আসানসোল পুরনিগমের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার প্রসেনজিৎ মণ্ডল বলেন, বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারই তদন্ত করা হয়েছে। পাঁচটি জমি সহ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিষয়ে উচ্চ আধিকারিকদের তথ্য সহ একটি রিপোর্ট কালই দেওয়া হবে। তারপর তারা যেভাবে ব্যবস্থা নিতে বলবেন তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন।

সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার জমি দখল ও পুকুর ভরাট করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে এই বেআইনি কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরেই প্রশাসনের পাশাপাশি সব মহলে তৎপরতা বেড়েছে।
এদিন বিএলআরওকে ওই এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন জাতীয় সড়কের পাশে বিশাল বিশাল পুকুর ভরাট হয়ে গেল আপনারা এতদিন কি করছিলেন ? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের জন্য কি অপেক্ষা করছিলেন?

এ বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি। কার্যত তিনি সাংবাদিক এড়িয়ে যান। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বেআইনি জমি ভরাটের কারণে এলাকায় জলাশয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জল সমস্যাও বেড়ে চলেছে সমানতালে।

এক বাসিন্দা বলেন, এই সমস্যার সমাধানে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। শুধুমাত্র তদন্ত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, আসানসোল পুরনিগমের সচিব শুভজিৎ বসু বলেন, ইতিমধ্যেই পুরনিগমের তরফে ১৪ টি পুকুর নিয়ে ১১ টি অভিযোগ একাধিক থানায় দায়ের করেছেন। ভূমি রাজস্ব দপ্তর এইসব অভিযোগ নিয়ে একটা রিপোর্ট দিয়েছে। তার ভিত্তিতে পুরনিগমের আধিকারিকরা পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে যৌথভাবে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জমির দাগ নম্বর ধরে ধরে এই মুহূর্তে পুকুর ক’টি আছে এবং ক’টি সম্পূর্ণ ভরাট করা হয়ে গেছে তা দেখছেন। এইসব রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুর সচিব জানিয়েছেন।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *