হাইমাস্ট লাইট বসানো নিয়ে বিরোধ। নিজস্ব ছবি
অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা,বার্নপুর: ইস্পাতনগরী বার্নপুর শহরে হাইমাস্ট লাইট বসানো নিয়ে আসানসোল পুরনিগম ও সেল আইএসপি কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছে ।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, “আসানসোল পুরনিগম কর্তৃপক্ষ আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার সাংসদ তহবিলের টাকায় বার্নপুর টাউন ও প্রান্তিক ক্লাবের মাঝখানে একটি হাইমাস্ট লাইট লাগানোর পরিকল্পনা করে। সেইজন্য আমি নিয়ম মেনে আইএসপির সিজিএমের ( টাউন সার্ভিস) কাছে আবেদন করি। পরে আসানসোল পুরনিগম আইএসপি কতৃপক্ষের কাছে এনওসি চায়। তখন আইএসপি কর্তৃপক্ষ আসানসোল পুরনিগমকে বলেছিল যে, তারা এই আলোর জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পারে না।”
এ নিয়ে পুরনিগম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন যে, এই হাইমাস্ট লাইটে বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম করবে। কিন্তু যখন এই আলো বসানোর কাজ চলছে তখন আইএসপি কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হচ্ছে, এই লাইট বসানোর কাজ এখানে করা যাবে না। যদি তারা এই কাজটি করে তাহলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠিয়ে সেলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অশোক রুদ্রের আরো অভিযোগ, আইএসপি কর্তৃপক্ষ জানান যে, লাইট বসানোর জায়গায় পানীয়জলের পাইপলাইন আছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। পানীশজলের পাইপলাইন থেকে আড়াই ফুট রেখে লাইট বসানো হচ্ছে।
এছাড়াও এখন আর এই পাইপলাইন দিয়ে পানীয়জল সরবরাহ করা হয় না।
তিনি বলেন, সেল আইএসপির কারণে বার্নপুরে উন্নয়ন কাজ প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আইএসপি কোটি কোটি টাকার ফান্ড পেলেও শহরের উন্নয়নে কোনো কাজ হচ্ছে না।
তাঁর দাবি, “আমি ব্যক্তিগতভাবে আইএসপি আধিকারিক সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা স্বীকার করেছেন যে, তাঁদের উপর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। তাই তাঁরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।”
তিনি আরো বলেন যে, আইএসপি কতৃপক্ষ বলছে যে লাইট বসানোর কাজ লোকসভা নির্বাচনের পরে করা হোক।
অশোক রুদ্র বলেন, তৃণমুল কংগ্রেস বিজেপির মতো নয়। তারা যে কাজ করে তা সাধারণ মানুষের জন্য করে । নির্বাচনের কথা মাথায় রাখে একমাত্র বিজেপি ।
তবে এই নিয়ে আইএসপি কর্তৃপক্ষের তরফে বিস্তারিত কিছু বলা না হলেও, জানানো হয়েছে, যা করা হয়েছে তা আইন মেনে।
Be First to Comment