আসানসোল : নানা কারণে বেশ কয়েকবার পিছিয়ে যাওয়ার পরে, মঙ্গলবার আসানসোল সিবিআই আদালতে কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন।
গত ২৫ নভেম্বর সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলায় চার্জশিটে থাকা সব অভিযুক্তকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে, এমনও নির্দেশ গত ২৫ নভেম্বর বিচারক দিয়েছেন। এখন দেখার মঙ্গলবার শেষ পর্যন্ত কি হয়?
এই মামলার চার্জশিটে নাম থাকা ৪৮ জন অভিযুক্তর মধ্যে বিকাশ মিশ্র গত ২৫ নভেম্বর সশরীরে আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজির না থাকায়, চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ নভেম্বর এই মামলার চার্জ গঠনের দিন ঠিক ছিল। সেদিন অন্যদের সঙ্গে বিকাশ মিশ্র আসানসোল সিবিআই আদালতে এসেছিলেন। ওইদিন অন্য দুজন গরহাজির ছিলেন। যার মধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্যজন অসুস্থ ছিলেন। তাই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও, চার্জ গঠন করা যায় নি। সেদিন আইনজীবিদের তরফে সিবিআইয়ের ধারা নিয়ে আপত্তি করে, সওয়াল করার সময় চেয়েছিলেন। সেই সময় বিচারক সময় দেওয়ায় মামলার অভিযুক্তদের তরফে অন্যতম তিন আইনজীবী শেখর কুন্ডু, সোমনাথ চট্টরাজ ও অভিষেক মুখোপাধ্যায় গত ১৮ নভেম্বর সওয়াল করেছিলেন।
সেদিন শুনানি শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ২৫ নভেম্বর সোমবার সিবিআইকে চার্জ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনও তা সম্ভব হয়নি।
কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছে। তাতে ৫০ জনের নাম আছে। তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনো ফেরার। তাকে সিবিআই ধরতে না পারায়, চার্জশিটে পলাতক বা এ্যাবসকন্ড দেখানো হয়েছে। শুনানি চলাকালীন একজন মারা গেছেন। যে কারণে সিবিআইয়ের মোট ৪৮ জনের নামে চার্জ গঠন করার কথা।
ইতিমধ্যেই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়ায় কার বিরুদ্ধে কোন ধারা দেওয়া হয়েছে তা সিবিআই আদালতে জানিয়েছে। এই ৪৮ জনের মধ্যে ব্যক্তিগত বা ইনডিভিজুয়াল তিনজনের নামে চার্জ গঠনের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এই বিকাশ মিশ্র। বাকি দুজন হলো অনুপ মাজি ওরফে লালা ও রত্নেশ্বর ভার্মা ওরফে রত্নেশ। এর পাশাপাশি আরো ২৩ জনের নামে একসঙ্গে, ১০ সরকারি কর্মী বা পাবলিক সারভেন্ট ও ১২ টি কোম্পানির নামে এই মামলায় চার্জ গঠনের কথা বলা হয়েছে।



Be First to Comment