আসানসোল : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আসানসোল পুরনিগমের পুর কমিশনার রাজু মিশ্র আসানসোল শহরের জিটি রোডের হটন রোড মোড় সংলগ্ন ঐতিহাসিক এটওয়াল ভবনে বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া বাজার ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করলেন।
ডিসেম্বর মাসে পুর কমিশনারের এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তাতে এই সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন তদন্তের পরে ওই ভবনের নির্মাণটি অবৈধ, তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো অর্ডার জারি হাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তা ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। অবৈধ নির্মাণ না ভাঙলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এখন দেখার আসানসোল শহরের একেবারে উপকন্ঠে হওয়া এই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে নাকি, শুধু মাত্র তা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? সেদিকেই তাকিয়ে শহরের লক্ষ লক্ষ মানুষ। কারণ গত কয়েক বছর ধরে এই অবৈধ নির্মাণটি নিয়ে আসানসোল শহরে তুমুল রাজনীতি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই দেশের নামকরা একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এই বাজারের ট্রেড লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে আসানসোল পুরনিগমের তরফে। এখন তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ জারি করল আসানসোল পুরনিগম।
আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর গোলাম সরাব অনেক আগেই এই ভবনে তৈরি হওয়া বাজার নিয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন।
তাতে তিনি বলেন, এই বাজার শহরের ঐতিহ্যশালী ভবনে তৈরি করা হয়েছে বেআইনি ভাবে। যা সাধারণত এটওয়াল বিল্ডিং নামে পরিচিত। তার অভিযোগ ছিলো আসানসোল পুরনিগমের একাংশ আধিকারিক ও কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগসাজশে অবৈধভাবে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ আগস্ট আসানসোল পুরনিগমের পুর কাউন্সিলরদের বোর্ড সভায় এই বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। তিনি বলেন, গ্রেটার নয়ডায় টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেদিক থেকে বলতে গেলে, আসানসোল পুরনিগম পুর এলাকায় বাস করা, বিশেষ করে আসানসোল শহরের নাগরিকদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে এই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে একটি উদাহরণ তৈরি করতে পারে।

একইসঙ্গে, আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রণবীর সিং ওরফে জিতু সিংও এই নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন।




Be First to Comment