অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপির “সিএসআর বা কর্পোরেট সোশাল রেসপনসেবলিটি প্রজেক্ট” আছে। এই প্রজেক্টের আওতায় ১৩ জন মহিলাকে গোলাপি ই-রিকশা দেওয়া হল। এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্নপুরের সেল আইএসপি বা ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের আশেপাশে বসবাসকারী ১৩ জন বঞ্চিত মহিলাকে তাদের ক্ষমতায়নের চাবিকাঠি হিসেবে আইএসপির কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি বা সিএসআর বিভাগ তাদের প্রত্যেককে একটি করে গোলাপী ই-রিক্সা (টোটো) দেওয়া হল। লক্ষ্য, যাতে তারা নিজেদের মতো করে জীবিকার সুযোগ করে নিতে পারে ।
আইএসপি-র ডিরেক্টর-ইন-চার্জ অনির্বাণ দাশগুপ্ত স্পোর্টস হাউস প্রাঙ্গণে ঊর্ধ্বতন আধিকারিক এবং বিপুল সংখ্যায় মানুষের উপস্থিতিতে এই ১৩ জন মহিলার হাতে তাদের ই-রিকশার চাবি তুলে দেন।
আইএসপি এসসি-এসটি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন কারখানার আশেপাশে বসবাসকারী এসসি এবং এসটি মহিলাদের মধ্য থেকে এই সুবিধাভোগীদের নির্বাচন করা হয় । যাতে এই সহায়তা সঠিকভাবে বঞ্চিতদের কাছে পৌঁছায়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর বা নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) উমেন্দ্র পাল সিং বলেন, এই গোলাপী ই-রিক্সা বিতরণ নারী সুবিধাভোগীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাদের সম্মানজনক জীবিকা অর্জন করতে এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম করবে।
প্রধান মহাব্যবস্থাপক (এইচআর) জিতেন্দ্র কুমার বলেন, এই উদ্যোগটি সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি সেল আইএসপির প্রতিশ্রুতি এবং এই এলাকায় প্রবৃদ্ধি প্রচারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে এজিএম (এইচআর) পবন কুমার সিং এবং সিনিয়র ম্যানেজার (সিএসআর) অভিষেক শৌর্যের সমন্বয়ে গঠিত সিএসআর টিম।
“গোলাপী ই-রিক্সা ” অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। এই উদ্যোগটি নারীদের নিজস্ব কর্মসংস্থানের মাধ্যমে একটা ভালে জীবিকা অর্জনে সক্ষম করে ও আর্থিক স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করে। উন্নত গতিশীলতা তাদেরকে বাজার, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার সুযোগ করে দেয়।
যার ফলে নারীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের আত্মনির্ভরশীলতার অনুভূতি শক্তিশালী হয়।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য দারিদ্র্যের চক্র ভেঙে ফেলা এবং সমতা বৃদ্ধি করা। সেল আইএসপির এই প্রচেষ্টা প্রকৃত পরিবর্তন আনছে এবং উন্নত ভবিষ্যতের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন করছে বলে দাবি করা হয়।




Be First to Comment