Press "Enter" to skip to content

রানিগঞ্জের শিল্প তালুকের দূষণ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি, কারখানা ও গ্রাম পরিদর্শনে আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল

রানিগঞ্জ : পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের কারখানা থেকে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হারে দূষণ ছড়াচ্ছে। এবার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সরব হলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। একইসঙ্গে দিলেন হুঁশিয়ারীও।

জানা গেছে, দীর্ঘ তিন মাস ধরে গ্রাম রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে দূষণ প্রতিরোধের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে
“ধোঁয়া হটাও গ্রাম বাঁচাও কমিটি”।

যদিও তার আগেই অনেকটাই ক্ষতি হয়ে গেছে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের পার্শ্ববর্তী এলাকা বক্তানগরের বাসিন্দাদের। দূষণের কারণে এই এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই নানান রোগ ভোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে ভয়ানক সব রোগে ভুগছেন। বেশ কিছু জন তো বাড়ির মধ্যে নিজের চিকিৎসা করাচ্ছেন কোনরকম করে।
এই দূষণের বিষয় আগেই শুনেছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। শনিবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার এই বক্তানগর সংলগ্ন মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের সাতটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার দূষণ নিয়ন্ত্রণে কি ব্যবস্থা রয়েছে সে সব বিষয় খতিয়ে দেখতে হাজির হন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

শনিবার বেলা ১১ টা নাগাদ তিনি মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের একটার পর একটা কারখানায় ঢুকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কেমন রয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিনা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র কারখানা কর্তৃপক্ষ চালু রাখছে কিনা সে সকল বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। একই সাথেই প্রত্যেকটি কারখানায় দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সাথে কথা বলে সাত দিনের মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলেই হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

এরপরই তিনি বক্তানগর এলাকায় পৌঁছে এই দূষণের কারণে আক্রান্ত এক পরিবারের সদস্যকে দেখতে যান। তার এই দূষণের জেরে যে চরম পরিণতি হয়েছে তা দেখে তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া দেন। এদিনের এই পরিদর্শনের পরে বিজেপি বিধায়ক বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও সেই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নিয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন।

একই সাথে তিনি এই মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের দূষণ নিয়ে সরব হন। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমরা শিল্পের বিরোধী নই। কিন্তু শিল্পের নামে মালিকেরা রোজগার করবেন, আর তাদের কারখানার দূষণের জন্য আশপাশের লোকেরা নানা রোগে ভুগবেন, তা তো হতে পারেনা। আমি এদিন সাতটা স্পঞ্জ আয়রন কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবকিছু দেখেছি এবং বলেছি। সাতদিন পরে আবার এসে দূষণ নিয়ন্ত্রণে তারা কি করছে, তা খতিয়ে দেখবো। যদি দেখি, কিছু হয়নি, তাহলে আমি কেন্দ্র সরকারকে গোটা বিষয়টি বলবো। এবং দাবি করবো, কারখানার মালিকদের কাছে নোটিশ পাঠিয়ে জবাব তলব করা হোক।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *