চিত্তরঞ্জন : রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি মার্কেটের দোকানদার তথা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
বিধায়ক মার্কেটে একটি বৈঠক করেন দোকানদারদের সঙ্গে। সেই বৈঠকে দোকানদাররা তাঁদের আবেদন আকারে বিজেপি বিধায়কের সামনে তুলে ধরেন। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সবকিছু শুনে তাদের দাবি ও বক্তব্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রেল শহর চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি মার্কেটের বেআইনিভাবে নির্মিত দোকানগুলি উচ্ছেদের অভিযান শুরু করেছিল রেল প্রশাসন। সেই সময় সামনেই দূর্গাপুজো ছিল। তাই স্থানীয় দোকানদারেরা তাদের কথা দুই বিজেপি বিধায়ক আসানসোল দক্ষিণের অগ্নিমিত্রা পাল ও কুলটির ডা. অজয় পোদ্দার ও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে বলেছিলেন।
সেই মতো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা সিএলডবলুর জিএমের সাথে বৈঠক করেছিলেন বিধান উপাধ্যায় এবং অজয় পোদ্দার। তখন বিধানসভা নির্বাচনের কাজে ঝাড়খণ্ডে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
তিনি সেই সময় চিত্তরঞ্জনে আসতে না পারলেও, দোকানদারদের বিষয়ে লিখেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে। কথা বলেছিলেন কারখানার জিএমের সঙ্গেও। সেই সময় তার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ছট্ পুজো পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। এখন কালি পুজো বা দীপাবলি উৎসব আসন্ন। এরপরেই ছট পুজো। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় দোকানদারেরা পুনরায় তাদের অভাব, অভিযোগ ও দাবিগুলি তুলে ধরতে অগ্নিমিত্রা পালের কাছে আহ্বান করেন।
সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার আমলাদহি বাজারে যান অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন দোকানদারেরা তাদের দাবিগুলি পেশ করেন বিজেপির রাজ্য নেত্রীর কাছে। সমস্ত আলোচনা শেষে অগ্নিমিত্রা পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি রেল মন্ত্রী ও সিএলডবলুর জিএমের কাছে তুলে ধরবেন এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার জন্যে অনুরোধ করবেন।
পরে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমি এদিন দোকানদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কথা শুনেছি। দেখি কতদূর কি করতে পারি।
উল্লেখ্য, রেল শহর চিত্তরঞ্জনে রেলের মার্কেট বা জমিতে বেআইনিভাবে দখল করে থাকা দোকান উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলের দাবি, এই আমলাদহি মার্কেটে ১৮৪ টির মতো বেআইনি দোকান আছে। ইতিমধ্যেই রেল তাদের আইন মতো বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। সমীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, আইন মেনে কত দোকান আছে। প্রয়োজনে নিলাম করতে পারে রেল, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
এখানেই আপত্তি করেছেন দোকানদারেরা। তাঁদের দাবি, এমন অনেক দোকানদার আছেন, যাঁদের বাবা ও দাদুরা দোকান করতেন। সেই সূত্রে তাঁরা তা পেয়েছেন। রেল তাঁদের নিয়ম মেনে কাগজ করে দিক। তাতে যতটা টাকা দেওয়ার তাঁরা তা দেবেন।
Be First to Comment