দুর্গাপুর: বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা থেকে রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহা।
এবার সেই চোর ধরতে দলবল নিয়ে মাঠে নামলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রশেখরবাবু এবার বেপরোয়া হয়ে লোহা চোর ধরতে দলবল নিয়ে বন্ধ কারখানায় ঢুকে পড়লেন ।
ঘটনায় জানা গেছে, সোমবার রাতে বিজেপির এক কর্মী সিটি সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই রাস্তা দিয়ে। তাঁর অভিযোগ, তিনি দেখেন রাস্তা আটকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভগৎপল্লী সংলগ্ন জেশপ গেটের একাংশে মেশিন লাগিয়ে লোহা কাটা হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ক্ষুর দিয়ে গলা কেটে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই লোহা চোররা । এরপর বাড়ি ফিরে সমস্ত ঘটনার কথা জানান বিজেপির অফিসে। সেই খবর শুনে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ জেশপ কারখানায় ঢুকে পড়েন। লোহা চোরদের খোঁজ শুরু করে দেন।

চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শুধু জেশপ কারখানা নয়, পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাওয়া মা চন্ডি কারখানা সহ বেশি কয়েকটি কারখানায় রাতের অন্ধকারে ব্যাপক লুট চলছে। তিনি বলেন, ওইসব কারখানার মাটি জঙ্গল লোহা সহ কারখানায় মূল্যবান যন্ত্রাংশ মেসিন দিয়ে কেটে প্রতিদিন রাতে চুরি চলছে। বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কাজের কাজ না হয়নি।
তিনি বলেন, এখানে পুলিশ, চোর, পার্টি সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। কোকওভেন থানার মদতেই চলছে এই সংঘটিত চুরি।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধ দমনে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
অন্যদিকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, থানা থেকে সামান্য দূরে কারখানা। সেখানে সংগঠিত ভাবে চুরি হচ্ছে অনেকদিন ধরে। এর আগে এই চুরির দায়ে দুইজন তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারা কি ছাড়া পেয়ে এবার কোমর বেঁধে চুরি করতে নেমেছেন?
জানা গেছে, কোকওভেন থানায় নতুন ওসি আসার পর লোহা চোরদের উৎপাত বেড়েছে। পাণ্ডবেশ্বর এলাকার লোহা চোর শেখ আজাদ, মেনগেট ওয়ারির লোহা চোর শেখ মেহেবুব, এই দুইজনকে কোকওভেন থানার ওসি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন । থানায় এদের অবাধ বিচরণ।
আর সগরভাঙার দাগি চোর হারা এবং কুখ্যাত মুকেশ বিহারী (যার নামে বহু অভিযোগ রয়েছে), এরা চারজন পুলিশের মদতে কোন কারখানায় লুট করতে হবে সেই বিষয়টি দেখভাল করছে। এই মুকেশ বিভিন্ন লোহা কারবারির কাছ থেকে টাকা তুলে নিয়ে আসে পুলিশের হয়ে ।




Be First to Comment