অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, আসানসোল : দু’বছর আগে ২০২২ সালে লোকসভা উপনির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্র থেকে জিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে তৃনমুল কংগ্রেস আবারও তাকে দলের প্রার্থী করেছে। সোমবার কোর্ট মোড় সংলগ্ন বিজেপি অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার গত দু’বছর কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
পাশাপাশি তিনি সাংসদ হিসেবে লোকসভায় আসানসোলের জন্য দাবি আদায়ে শত্রুঘ্ন সিনহা কি করেছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। গত দু’বছরে সাংসদ আসানসোলে কতদিন ছিলেন, তাও তো এলাকার বাসিন্দাদের জানা উচিত।
তিনি বলেন, আসানসোলের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বেশ কয়েকদিন আগে আসানসোলের সার্কিট হাউসে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এমপি ল্যাড বা সংসদ তহবিলে প্রায় ৩৮ কোটি টাকার কাজের পরিমাণের বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন।

শত্রুঘ্ন সিনহা, যিনি আসানসোলের সাংসদ তাঁর দুই বছরে এমপি ল্যাডে কী কী উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন, তার একটি পুস্তিকাও তিনি গণমাধ্যমকে দিয়েছেন। যে পুস্তিকায় সাংসদ প্রকাশ্যে গণমাধ্যমের সামনে একথা বলেছেন, তিনি সমগ্র দেশে প্রথম সাংসদ যিনি প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলের অধীনে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৭৭ টাকা পেয়েছেন। যে টাকা থেকে আসানসোলের ৫১ জন লোককে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা করার মতো আর্থিক ক্ষমতা ছিল না।
কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, তৃণমূল দল এবং তাদের নেতারা প্রায়শই বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্ম ও জাতি নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ আনে। তাঁরা প্রায়শই প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের জন্য কী করেছে?
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর নেতারাও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করার অভিযোগ তোলেন। তাঁদেরকে বলতে শোনা যায়, কেন্দ্র বাংলার মানুষের জন্য কিছুই করেনি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের এমপি ল্যাডের পুস্তিকা একবার দেখলে ও পড়লেই বুঝতে পারবেন, প্রধানমন্ত্রী কী করেছেন। যারা বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁদের থেকেই আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাবেন, বিজেপি ধর্ম ও জাতপাতের রাজনীতি করে না। কারোর প্রতি বৈষম্য করে না, সবাইকে সমানভাবে দেখে, এই কারণেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও তার নাম হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বারের নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নাম জয়ধ্বনি উঠেছে। দেশের মানুষও তাই ৪০০ পেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য অর্জনের জন্য এবার পুরোপুরি প্রস্তুত। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অনুমতি দেওয়া হয়নি এই রাজ্যে। বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলেও, সেইসব প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক প্রকল্পে তৃণমূল নেতাদের ব্যাপক দুর্নীতি ছিল, যা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে।



Be First to Comment