কুলটি : গত চার দিন ধরে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে লাগাতার জল ছাড়ার ফলে বাংলার বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়ে এই পরিস্থিতির জন্য সরাসরি ডিভিসিকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখনই তিনি বলেন, তিনদিন বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করে দেওয়ার জন্য ডিজিকে বলছি।
এরপর বিকেলে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কুলটির ডুবুরডিহি চেকপোস্টে বাংলা ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করে দেয়। পণ্যবাহী গাড়ি গুলিকে বাংলায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিপাকে পড়েন গাড়ি চালকরা।

এই খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা ডুবুরডিহি চেক পোস্টে আসেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার ।
তিনি চেক পোস্টে কর্মরত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সীমানা সিল করার কারণ জানতে চান। তাছাড়া বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি পুলিশের কাছে সীমানা সিলের লিখিত নির্দেশের কপি দেখতে চান। কিন্তু সেই সময় সেখানে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা সেই কপি পুলিশ আধিকারিকরা না দেখাতে পারায় তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।তিনি রাস্তায় নেমে গাড়ি চালকদের চেকপোস্ট পার করে চলে যেতে বলেন। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পরে বিধায়ক অজয় পোদ্দার বলেন, আমি পুলিশের উচ্চতম আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন এদিন সন্ধ্যার সীমানা খুলে দেওয়া হবে। এছাড়াও যেসব কাঁচা মালের গাড়ি এখানে আটকে রয়েছে সেগুলিকে ছাড়ার আবেদন পুলিশের কাছে করেছি।
তিনি আরও বলেন, যদি সন্ধ্যা পর্যন্ত সীমানা না খোলা হয়, তাহলে আমি এখানে আবার আসবো এবং তখন আন্দোলন শুরু করব। তার দাবি, কোনওভাবে কোনও রাজ্য সরকার নিজের খুশি মতো জাতীয় সড়ক সিল করতে পারে না।
প্রসঙ্গ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোলে সাংবাদিকদের আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (হেড কোয়ার্টার) অরবিন্দ কুমার আনন্দ বলেছিলেন, রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একটা নির্দেশ এসেছে। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করে নাকা চেকিং করা হচ্ছে। ডিসিপি (ট্রাফিক) পুরো বিষয়টি দেখছেন ।




Be First to Comment