আসানসোল : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ ও ধৃত ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল শহরে বিক্ষোভ মিছিল করল বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ।
এদিন সকালে বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল আসানসোল স্টেশন এলাকা থেকে বের হয়। পরে সেই মিছিল জিটি রোড, বিএনআর, ভগৎ সিং মোড়, কোর্ট রোড, কোর্ট মোড় হয়ে আসানসোল আদালত চত্বরে ঘড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।
সেখানে একটি সভারও আয়োজন করা হয়েছিল। এই মিছিলে দলীয় পতাকা ছাড়াই বিজেপি একাধিক বিধায়ক ও নেতা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, দুই বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও ডাঃ অজয় পোদ্দার, আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, বিজেপির রাজ্য ট্রেড সেলের কো-কনভেনার সুব্রত ওরফে মিঠু ঘাঁটি, জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় সহ অন্যরা।
এছাড়াও ছিলেন স্বামী জ্ঞানানন্দ মহারাজ, দয়ানন্দ নিতাই দাস, লতা পাটিল মোদক বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণের আসানসোলের প্রমুখ অমিত সরকার ও প্রদীপ সিং। এছাড়াও মিছিলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একাধিক হিন্দু সংগঠনের সদস্য ও সদস্যারা অংশ নেন।

তারা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে জেল থেকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি লেখা হয়। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনিসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে ভারত সরকার দাবি জানাক, যাতে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করা হয়।
অমিত সরকার বলেন, “ভারতবর্ষের স্বাধীনতার আগে যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, মহান বিজ্ঞানী ও স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতবর্ষের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক কবি, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী রয়েছেন যাঁরা ভারতে এসে তাঁদের প্রতিভাকে পরিশ্রুত করেছে।”
বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। এটা উদ্বেগের বিষয় বলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”




Be First to Comment