Press "Enter" to skip to content

রায়কতপাড়ার মিশ্র বাড়ির বাসন্তী পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ গড়ালবাড়ির হামিদুল

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: সম্প্রীতির পুজো শহরে। বিগত দুই দশক ধরে শহরের রায়কতপাড়ার মিশ্র বাড়ির বাসন্তী পুজোর অবিচ্ছেদ্য অংশ গড়ালবাড়ির হামিদুল। ঈদ মেটার পর ফুরসত নেই তাঁর। জলপাইগুড়ি শহরের মিশ্র বাড়ির বাসন্তী পুজোয় যাবতীয় কাজের ভার গড়ালবাড়ির হামিদুল হকের হাতে।পঞ্চমী থেকেই কাজ শুরু, দশমীতে শেষ।

পুজোর সূচনা করেছিলেন বাড়ির বর্তমান কর্তা শুভঙ্কর মিশ্রের বাবা নীরেন্দ্র লাল মিশ্র। তখন থেকেই হামিদুল এই পুজোর সাথে যুক্ত। কখনও মূল গেটের সামনে কলাগাছ লাগাচ্ছেন তিনি । কখনও বা বেলপাতা ধুয়ে তুলে দিচ্ছেন পুরোহিতের হাতে। আবার নৈবিদ্য সাজাতে শুভঙ্করের স্ত্রী অর্তুহা ও মেয়ে আর্যহীকেও সহায়তা করছেন তিনি। আবার প্রসাদ পরিবেশনের কাজেও হাত লাগাতে হয় তাঁকে।

শুভঙ্কর বলেন,” উনি আমাদের পরিবারেরই একজন হয়ে গিয়েছেন। বাড়ির পুজোয় হামিদুলদাকে ছাড়া আমাদের চলে না।” পুরোহিত উৎপল চক্রবর্তী ও ঢাকী বাবলু চূর্ণকরের মুখেও হামিদুলের প্রশংসা। তাঁরা বলেন,” হামিদুল ঠিক বুঝে নেয় কখন কী করতে হবে।ওকে বলে দিতে হয় না।”

পুজোয় মিশ্র বাড়িতে আসা আত্মীয়স্বজন ও পড়শিরাও হামিদুলকে বিলক্ষণ চেনেন। পুরোহিত উৎপল চক্রবর্তী ও ঢাকী বাবলু চূর্ণকরের সাথে বেশ সখ্যতা হামিদুলের। উৎপল বলেন,” নিষ্ঠা সহকারেই পুজোর জোগাড় ও কাজ করে হামিদুল।”পঞ্চমী থেকেই নিরাশিষ আহার করেন মিশ্র বাড়ির সকলে। তাদের সাথে একই খাবার খান হামিদুল। ষষ্ঠীতে বাড়িতে প্রতিমা এলে ব্যস্ততা আরও বাড়ে তাঁর।দশমী তাঁর কাছেও বিষাদের।

হামিদুল বলেন,” দেখুন, সব ধর্মই এক। আমার ছোটবেলা থেকেই পুজো দেখতে ভালো লাগতো। এই পুজোয় দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছি।বড় শান্তি পাই মায়ের কাজ করে।”

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *