Press "Enter" to skip to content

বারাবনিতে বিজেপির সভায় গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, প্রহৃত সাংবাদিক

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, বারাবনি : কুলটির পরে এ বার বারাবনি। বিজেপির নির্বাচনী কর্মীসভায় উত্তেজনা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার উপস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মীরা। ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলা এবং ব্লক নেতারা।

বচসার পাশাপাশি বিজেপির কর্মীরা একে অপরকে ধাক্কাও মারেন। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল। সেই সময় বারাবনির এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে তাঁকে বিজেপির কর্মীরা বাধা দেন। তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি তোলার কারণে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই অন্য সাংবাদিকরা সেখানে পৌঁছান ও প্রতিবাদে সামিল হন। বৃহস্পতিবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বারাবনি বিধানসভা এলাকার এই ঘটনাটি ঘটে। বারাবনি থানার সংলগ্ন বড়থানে একটি ম্যারেজ হলে এদিন এই নির্বাচনী কর্মীসভা ডাকা হয়েছিল।

স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভা নির্বাচনের মুখে এমন ঘটনায় বেশ কিছুটা হলেও অস্বস্তি ও বিড়ম্বনায় পড়েছে পদ্ম শিবির। যদিও প্রার্থী এই ঘটনা দলের কোন্দল বলে মানতে চাননি। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির কর্মীসভার এই ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলের সমালোচনা করতে দেরী করেনি তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

জানা গেছে, এদিন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে বারাবনির বড়থানে একটি ম্যারেজ হলে এই নির্বাচনী কর্মীসভা ডাকা হয়েছিল। দলের জেলা সভাপতিকে নিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ঢোকা মাত্রই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এর পাশাপাশি চেয়ার টেবিল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়। তার ছবি তুলতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় সেখানে থাকা বিজেপির নেতৃত্বরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় প্রার্থী ও জেলা সভাপতিকে অন্য ঘরে বসানো হয়। এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তার পরেই কর্মী সম্মেলন আবার শুরু হয় ।

এই ঘটনা নিয়ে, বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, দল সবসময় সাংবাদিকদের সম্মান করে। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তবে তিনি বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইছেন। যদিও তিনি কর্মী সম্মেলনে আজ যা হয়েছে তা কোনও হাতাহাতি বা মারামারি ছিল না। এটি বিজেপি কর্মীদের অতিরিক্ত উৎসাহ ছিল। আজ যাদেরকে এখানে ডাকা হয়েছিলে তার চেয়ে বেশি কর্মী এসেছিলে। তাই চেয়ার টানাটানি হয়েছে। তিনি বলেন, কারোর মনে কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। যা কিছু ঘটেছে তা কর্মীদের চরম উৎসাহের কারণে হয়েছে। কারণ সবাই চায় বিজেপি নির্বাচনে জিতুক। তার দাবি, ভারতীয় জনতা পার্টি অবশ্যই বারাবানির মানুষের মন জয় করবে।

এদিকে, বারাবনিতে কর্মী সম্মেলনে বিজেপির দু’দলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় সাংবাদিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করার বিষয়ে বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, আজ যা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *