কুলটি : মোটরবাইকে ভিজে কাপড় থেকে জল পড়াকে কেন্দ্র করে বচসা ও বিবাদ। তার থেকেই প্রতিবেশী এক পরিবারের তিন সদস্যকে মারধর করার পাশাপাশি পিস্তল উঁচিয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
কালি পুজোর পরের দিন শুক্রবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোল কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির অন্তর্গত শীতলপুর ৪ নং এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পিস্তল উঁচিয়ে গুলি চালিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কিত।
আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের দাবি, দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। খবর পেয়ে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় আসে। আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার আটক করা হয় অভিযুক্ত সঞ্জীব শর্মাকে। একটি ভিডিওতে তাকে পিস্তল হাতে দেখা যায়।
জানা গেছে, কুলটির শীতলপুর ৪ নং এলাকায় থাকেন কালিচরণ রাম। তার প্রতিবেশী হলেন পেশায় পন্ডিত বা পুরোহিত সঞ্জীব শর্মা। এদিন সকালে বাড়ির বাইরে ভিজে কাপড় মেলেন কালিচরণ রামের স্ত্রী রাজকুমারী রাম। সেখানে সঞ্জীব শর্মার ছেলে সিন্টু শর্মার মোটরবাইক দাঁড় করানো ছিল। ভিজে কাপড় থেকে সেই মোটরবাইকে জল পড়ছে, এই বলে সিন্টু শর্মা রাজকুমারী রামকে কাপড় সরিয়ে নিতে বলে।
অভিযোগ, সেই সময় সিন্টু রাজকুমারীদেবীর উপর লাঠি নিয়ে চড়াও হয়ে, তাকে মারধর করা হয়। তাতে তার হাতে চোট লাগে। এরপর কালিচরণ রাম বাইরে এলে, তার সঙ্গেও বচসা হয়। তাকেও লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার বাঁহাত জখম হন। শর্মা দম্পতির সঙ্গে ছিল তার ছেলে আয়ুষ রাম। অভিযোগ, এই ঝগড়া ঝামেলার মধ্যে সিন্টু শর্মার বাবা সঞ্জীব শর্মা বাড়ির ভেতর থেকে হাতে পিস্তল বার করে বাইরে আসেন। আয়ুষ রামের দাবি, প্রতিবেশী সঞ্জীব শর্মা তাকে লক্ষ্য করে দু রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন।
যদিও, তার গায়ে ওই গুলি না লাগায়, সে অল্পের জন্যে প্রাণে বেঁচে যান। আশপাশের লোকেরা ততক্ষণে সেখানে জড়ো হয়ে যান। অভিযোগ, গুলি চালানোর পরে সঞ্জীব শর্মা রাস্তার পাশে জলা জায়গায় পিস্তল ফেলে দেন।
খবর পেয়ে শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় আসে। গুলি চালানোর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ পিস্তল উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায় বলে জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পড়শি পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, ওই ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে। পিস্তলের খোঁজ করা হচ্ছে।
Be First to Comment