কুলটি : আসানসোল পুরনিগমের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সেলিম আখতার আনসারির কুলটির পাতিয়ানা মহল্লা বসত বাড়ি শুক্রবার সিল করল বেসরকারি গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থা।
শুক্রবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলটি পুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল আদালতের নির্দেশে ওই বেসরকারি গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থার আধিকারিকরা কুলটি থানার পুলিশের সহযোগিতায় তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলারের বাড়িটি সিল করেন।
এই বিষয়ে সংস্থার আধিকারিক তারক সামন্ত বলেন, সেলিম আখতার আনসারি ও শামিম আখতার আনসারি ২০১৮সালে ১৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু গত দুবছর হয়ে গেল তারা ইএমআই দেননি বা ঋণ পরিশোধ শোধ করেননি। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরকে নোটিশ পাঠিয়ে ঋণ শোধ করার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা কোনও উত্তর না দেওয়ায়, সংস্থার তরফে আসানসোল আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে এদিন বাড়িটি সিল করে সংস্থা নিজের দখলে নিল। বর্তমানে ঋন হিসাবে ৩২ লক্ষ টাকা বাকি রয়েছে বলে জানান ওই আধিকারীক।

তিনি বলেন, আমাদেরকে এদিন বাড়ি সিল না করার অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে নির্দেশ আছে। তাই আমাদের কিছু করার নেই। ওনারা চাইলে সংস্থার আসানসোল অফিসে গিয়ে এই ব্যাপারে কথা বলতে পারেন।
যদিও এই বিষয়ে সেলিম আখতার আনসারির ভাই শামিম আখতার আনসারি বলেন, আমার দাদা ঋণ নিয়েছে। তবে আমি কিছুই জানিনা। ঋণ প্রদানকারী সংস্থার আধিকারিকেরা আসেন তবেই বিষয়টি জানতে পারি। এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।
তিনি আরো বলেন, আমার দাদা এলাকার কাউন্সিলার সেলিম আখতার আনসারি, প্রায় দেড় মাস থেকে ফেরার রয়েছেন। কোথায় গেছে আমি জানি না। আমার সাথে কথা হয় না। ওর বিষয় নিয়ে আমি কিছু জানা নেই।
প্রসঙ্গত, শাসক দলের কাউন্সিলার সেলিম আখতার আনসারি এলাকায় রেশনের ডিলার। তার বিরুদ্ধে এর আগে এই রেশন ডিলারশিপ নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাদ্য দপ্তরের তরফে তার সেই ডিলারশিপ সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপী হওয়ার অভিযোগ উঠল।




Be First to Comment