অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা: আসানসোল পুরনিগমের মেয়রের চেম্বারে মঙ্গলবার মেয়র পারিষদের বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মেয়র বিধান উপাধ্যায়, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য মেয়র পারিষদ ও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে এই বৈঠক সম্পর্কে মেয়র বলেন, পানীয়জলের ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে দ্রুত আসানসোল পুরনিগম এলাকায় পানীয়জলের ঘাটতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় এই বৈঠক নিয়ে বলেন, পুর এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা চলছে। পুর এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে সুগম করতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে ২০২৬ সালের আগে, সমস্ত ওভারহেড ট্যাঙ্কগুলি চালু করা হবে। তারপরে সমস্ত বাড়িতে জল সরবরাহ করা হবে। তিনি হটন রোড এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য টোটোর জন্য আলাদা স্ট্যান্ড তৈরির কথাও বলেন।

গুরুদাসবাবু বলেন, টোটোর জন্য আলাদা স্ট্যান্ড তৈরি করলে হটন রোডের যানজট সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে। এদিনের বৈঠকে আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসবাবু বলেন, অনেক পুরনো ভবন আছে, যেগুলো প্রোমোটাররা তৈরি করছেন। কিন্তু সেখানে পানীয়জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিতে, সেখানে বসবাসকারী মানুষ, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা, অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। যদি এই ধরনের ভবনে বসবাসকারী বাসিন্দারা যদি পানীয়জলের জন্য আবেদন করেন, তাহলে সেখানে সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিনের সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এদিনের বৈঠকে এই ধরণের পুরনো ভবনগুলিতে জল সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন ভবনে জল সংযোগ দেওয়ার পুরনো নিয়মগুলি যেমন আছে তেমনই থাকবে। একইসাথে পুর এলাকায় রাজস্ব আদায় কি করে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।



Be First to Comment