Press "Enter" to skip to content

আসানসোল পুরনিগমের ৭৬টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে তৃণমূল, নৈতিক দায় নিয়ে শাসক দলের নেতাদের পদ ছাড়ার দাবি বিজেপি নেত্রী চৈতালি তেওয়ারির

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা : আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে জিতেছেন।

এই লোকসভা কেন্দ্রের রয়েছে আসানসোল পুরনিগম এলাকার ১০৬ টি ওয়ার্ড রয়েছে, আসানসোল, বার্ণপুর, কুলটি, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ-এ । কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৬ টি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ, দেড় দশকের মতো আসানসোল পুরনিগমের ক্ষমতায় থাকলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে পুর এলাকা বা শহরবাসীরা ভোট দেননি বা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আর এই রেজাল্টকে সামনে রেখে তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলারদের দলনেত্রী তথা বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তেওয়ারি।

শনিবার চৈতালি তিওয়ারি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বলেছেন, আসানসোল পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭৬টিতে বিজেপি লিড পেয়েছে। এর থেকে পরিষ্কার যে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় বিজেপি জিতেছে। এটাও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে গত আসানসোল পুরনিগম নির্বাচনে ভোটে রিগিং করা হয়েছে। তা হয়েছে তৃনমুল কংগ্রেসের দ্বারা৷ তিনি আরও বলেন, লোকসভা নির্বাচনের এই ফলাফলের পরে আসানসোল পুরনিগমের শাসনে থাকা তৃনমুল কংগ্রেসের নেতাদের বিভিন্ন পদে থাকার অধিকার নেই।

কারণ জনগণ যখন সেখানে সুষ্ঠুভাবে নিজেদের মতো করে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ বা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা তৃনমুল কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তাদের পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই। তাদের দায় নিয়ে পদ ছাড়া উচিত।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে আসানসোল পুরনিগমের দলের ভোট পাওয়া নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু। তিনি বলেছিলেন, দলের প্রার্থীর জয়ে আনন্দিত। কিন্তু আসানসোল পুরনিগম এলাকায় পিছিয়ে পড়ায় দুঃখ হচ্ছে। কেনও এমন ফল হলো, তা দল অবশ্যই পর্যালোচনা করে দেখবে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *