আসানসোল : ভাগ্য পরীক্ষা অলরেডি হয়ে গেছে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধান সভার ৭৬ শতাংশেরও বেশি ভোটার তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার গত ১৪ মে ইভিএমে দিয়েছেন। তা আপাতত স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, কে আগামী ৫ বছরের জন্য সংসদীয় ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি বা সাংসদ হয়ে দিল্লি যাবেন।
সেই ভাগ্য নির্ধারণের আগের দিন সোমবার বেশ হালকা মেজাজেই ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

আপাতত তিনি রয়েছেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের গণনা কেন্দ্র সেনরেল রোডের আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অদূরে একটি হোটেলে।
এদিন সকাল থেকে বিজেপি প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, ইলেকশন এজেন্ট সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বিকেলে বৈঠক করেন কাউন্টিং এজেন্টদের সঙ্গে।
তার মাঝে এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি প্রার্থী বলেন, “১৪ মে আসানসোলের মানুষেরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই কেন্দ্রে আরও ৬ জন নির্বাচনের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আমার লড়াই তাঁদের সবার সঙ্গে। মঙ্গলবার ভোটের ফল ঘোষণার পরে তাদের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন।”
২ বছর আগে ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমুল কংগ্রেসের শত্রুঘ্ন সিনহা তিন লক্ষেরও বেশী ভোটে জিতেছেন।
মাত্র দুবছরে তিনি সেই ব্যবধান দূর করে ২০১৪ ও ২০১৯ এর ফলের পুনরাবৃত্তি করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী বলেন, উপনির্বাচনে কি ভাবে ভোট হয়েছিল, তা সবাই জানেন। ভোট লুঠ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তা হবে না। বাই ইলেকশন, বাই ইলেকশনই হয়। যে রাজ্যে তা হয়, সেখানকার শাসক দলের প্রার্থী তাঁর লাভ পায়। এখানেও তাই হয়েছে। আর মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন। সেটা রেজাল্ট বেরোলেই দেখতে পাবেন।
পাশাপাশি তাঁর উত্তর, “আমি পরপর দুবার দার্জিলিং ও বর্ধমান – দুর্গাপুরের সাংসদ হয়ে কি কাজ করেছি, তা সেখানকার লোকেরা জানেন। এখানকার মানুষেরা যদি আমাকে সুযোগ দেন, আমি আমার পরিকল্পনা মতো কাজ করবো। ঘুরে ঘুরে দেখে কি কাজ করতে হবে, তার একটা পরিকল্পনাও করেছি। এবার দেখি আসানসোলের মানুষেরা আমাকে সেই সুযোগ দেন কি না?”
সাক্ষাৎকারেই, তিনি বলেন, গণনার সময় গণনা কেন্দ্রে যাবেন না। এই হোটেলে থেকেই পুরো গণনায় নজরদারি করবেন । তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই যাবেন ।



Be First to Comment