Press "Enter" to skip to content

আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানার বড়সড় সাফল্য, জালিয়াতির অভিযোগে থেকে গ্রেফতার ১৩

আসানসোল: সাইবার অপরাধের মাধ্যমে প্রতারণা বা জালিয়াতি করার একটি বড় চক্রের হদিশ পেলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানা। ইস্পাত নগরী দূর্গাপুরে বসে চালানো এই চক্রের ১৩ জনকে ধরে বড়সড় সাফল্য পেলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানা। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে ডিডি বা গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকরা। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) অরবিন্দ আনন্দ আসানসোলের পুলিশ লাইনে সাইবার পুলিশ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানান।

বুধবার ধৃত ১৩ জনকে আসানসোল আদালতে পেশ করে, তারমধ্যে নির্দিষ্ট ৬ জনকে পুলিশের তরফে রিমান্ডে চাওয়া হয়। পুলিশের সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ৬ জনকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।

সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি ( হেডকোয়ার্টার) বলেন, দুর্গাপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে বসে এই চক্র সাইবার জালিয়াতি করছিলো। সাইবার থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল সেখানে হানা দিয়ে মোট ১৩ জনের একটি দলকে গ্রেফতার করে। এরা প্রধানতঃ আমেরিকান নাগরিকদের সাথে যোগাযোগ করে বলতল যে তাদের ল্যাপটপে ইনস্টল করা অ্যান্টিভাইরাস মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা একটি অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানির প্রতিনিধি। সেই হিসাবে তারা তাদের ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করতে পারে। এই কথা বলে, তখন তারা ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে অ্যান্টিভাইরাস ডাউনলোড করে তাদের কাছে পাঠাতেন। এই চক্রের কথা গোপন সূত্রে জানতে পারে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সাইবার সেলের আধিকারিকরা। এরপর তারা গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকদের সাহায্যে মঙ্গলবার অভিযান চালায় দুর্গাপুর শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি ভাড়াবাড়িতে। সেখান থেকে এই ১৩ জনকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১২ টি ল্যাপটপ, ১৩টি মোবাইল ও ৫টি হেডফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন তাদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছিলো। তার মধ্যে ৬ জনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, এই ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানার চেষ্টা করা হবে এই প্রতারণার সাথে কেবল এই ১৩ জন জড়িত কিনা। এদের পেছনে কি মাস্টারমাইন্ড রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হবে। ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা করে তদন্ত করা হবে। দেখা হবে, ঠিক কতজনকে প্রতারণা করা হয়েছে ও কত টাকা পাচার করা হয়েছে এই জালিয়াতি মাধ্যমে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে ধৃতদের নাম। তারা হলো (১) শেখ সোহাইব আলি, (২)আনান আফজাল, (৩) আয়ান আলী, (৪) আনন্দ শ, (৫) মহঃ কাইফ, (৬) শেখ সাদ, (৭) অঙ্কিত শ, (৮) রাহুল বাহেতি, (৯) নাফিস ইসলাম, (১০) আব্দুল হোসেন, (১১) মহঃ আজহারউদ্দিন,(১২) ইয়াসির আইয়ুব ও (১৩) গৌরব বিশোয়াল। ধৃতরা প্রত্যেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *