আসানসোল: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে বুধবার থেকে নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে এমন কোন পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের ছিলো না। কিন্তু ” দানা” র প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যে ছটার পরে বৃষ্টি শুরু হলো আসানসোল শহর তথা গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে। কোথাও জোরে ও কোথাও বা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়।
তবে এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের আকাশ পরিষ্কারই ছিলো। কিন্তু বিকেল চারটের পর থেকে শহর তথা শিল্পাঞ্চলের আকাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করে। শুরু হয় দমকা হাওয়া। ঠিক সন্ধ্যে ছটার পরে শুরু হয় বৃষ্টি।
এদিকে, ” দানা” কে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম লিমিটেড ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলাশাসক এস পোন্নাবলম নিজে জেলা ও মহকুমা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।
এই প্রসঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( জেনারেল) সিরাজ দানিশ্বর বলেন, বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে এমন কোন পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তর দেয়নি। বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার এর প্রভাব পড়তে পারে, ধরে নিয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। জেলার তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মহকুমাশাসক ও বিডিওদের মাধ্যমে এলাকায় নজরদারি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি আরো বলেন, এখন আমরা ৬ ঘন্টা অন্তর আপডেট খবর পাচ্ছি। সাইক্লোনের ল্যান্ডফল হলে আমরা ১ ঘন্টা অন্তত আপডেট খবর পাবো। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বুধবার মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে এদিন জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই কমানো হয়েছে বলে সন্ধ্যায় জানান ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ( সিভিল) আঞ্জনি দুবে। তিনি বলেন, এদিন দুটি জলাধার থেকে ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার জল ছাড়া হয়েছে। সন্ধ্যা সাতটার সময় মাইথনে ৪৮৬ ও পাঞ্চেতে ৪১১ ফুটে জল রয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জল ধরে রাখার সর্বোচ্চ ক্ষমতা হলো যথাক্রমে ৪৯৫ ও ৪২৫ ফুট। এদিকে সন্ধ্যা ছটার পরে মাইথন ও পাঞ্চেত এলাকায় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
Be First to Comment