পঁচিশে বৈশাখ ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস।
কিন্তু শুধু কি এই দিনটিতেই তিনি আমাদের স্মরণে আসেন? না কবিগুরু আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে, আমাদের স্মরণে, মননে তাঁর চিন্তা ভাবনা, দার্শনিকতা আমাদের জীবনে পথ চলতে শেখায়।
আর একদিকে ২৫ মে ছিল বাংলার আর এক প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিবস। ‘বাংলা সাহিত্য’-এর এক অমূল্য সম্পদ নজরুলের সৃষ্টি কবিতা ও গান।
আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার এই দুই মহান কবির সৃষ্টির বিপুল ভাণ্ডার থেকে কিছু মনিমুক্ত সংগ্রহ করে গাঁথা হয়েছে বিধানচন্দ্র কলেজ আসানসোলের এই রবীন্দ্র-নজরুল স্মরণ অনুষ্ঠান।

ঊনিশ শতকের নারীর অধিকার যখন অনেকটাই অকল্পনীয় তখন রবীন্দ্রনাথ নারীর চরিত্রকে তাঁর লেখনীতে তুলে আনলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই প্রথম যিনি নারীকে আত্মস্বতন্ত্র মন্ডিত করে প্রকাশ করেছেন। তাইতো তিনি তাঁর নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা- তে লিখেছেন “আমি চিত্রাঙ্গদা রাজেন্দ্র নন্দিনী, নহি দেবী নহি সামান্য নারী”
এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা। এই প্রথমবার এই রকম একটি নৃত্যনাট্য বিধানচন্দ্র কলেজে উপস্থাপনা করছেন কলেজেরই ছাত্র ছাত্রীরা, এবং এর পরিকল্পনা ও পরিচালনায় রয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপিকা ড. অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবং এই কলেজের প্রিন্সিপাল মহাশয় ড. ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের উৎসাহে এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপিত হল ৭ জুন শুক্রবার, বেলা ১টায়।



Be First to Comment