উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : জয়নগরে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার এপিডিআর দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা কমিটির তরফে মিছিল করে গিয়ে বারুইপুর পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
এ দিন মিছিল শুরু হয় বারুইপুর স্টেশন থেকে।এদিন স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরূপ মুখোপাধ্যায়। এর আগে গত রবিবার এপিডিআর-এর এক প্রতিনিধি দল মহিষমারির ঘটনার তথ্যানুসন্ধান করে তাতে এপিডিআর এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে:
১) এই ঘটনার পিছনে পরিকল্পিত চক্রান্ত আছে।

২) গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের একার কাজ নয় এটা। আরও লোক ছিল সঙ্গে।৩) গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেটিকে এলাকার লোক কিছুটা ‘তার কাটা’ বা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে। তাকে প্রলুব্ধ বা প্ররোচিত করে কেউ অপরাধ মূলক কাজ করিয়ে নিতে পারে।
৪) স্থানীয় একজন প্রভাবশালী কিন্তু বিক্ষুদ্ধ শাসক ঘনিষ্ঠ নেতাই নাকি পুলিশকে প্রথম ঐ যুবকের নাম বলেছেন। বলেছেন ও করে থাকতে পারে। তাঁর পুলিশ গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে আসে।
৫) ওঘ নেতার সঙ্গে এপিডিার কথা বলতে পারেনি। তিনি APDR কে সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন বলেই আমাদের মনে হয়েছে।
আর মঙ্গলবার এই সব তথ্য নিয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এদিন এব্যাপারে এপিডি আরের জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, “আমরা অন্যান্য দাবির সঙ্গে আরও বলেছি, পুলিশের বড় বড় অফিসাররা কুলতলিতে গিয়ে বারবার টেলিভিশন ক্যামেরায় বলছেন, প্রতিবাদীদের কাউকে ছাড়া হবে না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। বলেছি, এটা প্ররোচনা সৃষ্টি। আমরা বলেছি, কোন প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেওয়া চলবে না। কারণ পুলিশের গাফিলতিতেই বাচ্চা মেয়েটি মারা গেছে। মানুষের ক্ষোভ তো হবেই। ফলে ভাঙচুর হয়ে থাকলে তার দায় পুলিশের, স্থানীয় মানুষের নয়। তাছাড়া, যে কোন প্রতিবাদী জনতার সঙ্গে আলাপ আলোচনায় না গিয়ে পুলিশ গায়ের জোর দেখাতে যায়। তাতেই পরিস্থিতি খারাপ হয়। পুলিশকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। পুলিশের FIR না নিয়ে এক থানা থেকে আরেক থানায় ঘোরানো নিয়েও আমরা সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”



Be First to Comment