উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: কুলতলির বাঘে আক্রান্তদের দ্রুত সরকারি ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে এপিডিআরের পথসভা হয়ে গেল কুলতলিতে।
দীর্ঘদিন সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত পরিবারদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে তাদের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এপিডিআর নামে একটি গণ সংগঠন। আর তাদের উদ্যোগে মঙ্গলবার বেলায় তাদেরই কুলতলি মৈপীঠ শাখার ব্যবস্থাপনায় কুলতলির জর্জের হাট বাজারে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।
আগামী বুধবার (৭ আগস্ট) ক্যানিং বন দফতরের অফিসে গণ- ডেপুটেশনে যোগ দেওয়ার জন্য কুলতলির জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয় এদিনের। সভা থেকে মূলত চার দফা দাবীতে বুধবার বনদফতরে গণ ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। আর এদিনের পথ সভায় এই চার দফা দাবির ব্যাখা করে দাবির সমর্থনে জনমত গঠন করা হয়।

এব্যাপারে এপিডিআরের দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, “আমরা সুন্দরবনের বাঘে আক্রান্ত দের পরিবারের সঙ্গে থেকে তাদের সরকারি ক্ষতিপূরণ ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ পাইয়ে দিতে তাদের পাশে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।আর তাই এদিন পথ সভার মধ্যে দিয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি তোলা হল । এদিনের সেই দাবি গুলি হল:১) বনদপ্তরকে বাঘের আক্রমণে নিহত কুলতলির যুবক আবুর আলি মোল্লার মৃতদেহ খুঁজে এনে দিতে হবে।২) সুন্দরবনের সমস্ত মৎস্যজীবীদের নৌকাসহ মাছ ধরার লাইসেন্স ( বিএলসি পাস) দিতে হবে।৩)বাঘের আক্রমনে আহত ও নিহত সুন্দরবনবাসীদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ ঘটনার এক মাসের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।৪) সুন্দরবনের মৎস্যজীবী ও মৌলেদের উপর বন দপ্তরের অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।”
এদিনের এই পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন এপিডিআরের জেলার সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল, দেবাশীষ ভট্টাচার্য, শেখ পলাশ, সিরাজ খান সহ আরো অনেকে।এ দিনের এই সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে মানুষ ও বাঘের সংঘাত ও।বেড়েছে বাঘের আক্রমণে মৎস্যজীবীদের নিহত ও আহত হওয়ার সংখ্যাও। সরকার যখন ঘটা করে ব্যাঘ্র দিবস পালন করছে, বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলছে বলে নিজেদের পিঠ চাপড়াচ্ছে তখন চাপা পড়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের মানুষের হাহাকার। কুলতলিতে বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত বাবুরাম দাস এখনো হাসপাতালে। কলকাতায় চিকিৎসা চলছে।সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
উল্লেখ্য গত ১১ জুলাই কুলতলির বাসিন্দা আবুর আলি মোল্লা বাঘের আক্রমণ নিহত হন। বাঘ নৌকায় ঝাঁপিয়ে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে যায় তাকে জঙ্গলে। বনদফতরকে লিখিত জানানোর পরেও বনদফতর থেকে উদ্বারের জন্য কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে,এ বছরে এখনো পর্যন্ত সুন্দরবনে দশ জন বাঘে আক্রান্ত তারমধ্যে ৭ জন মৃত।




Be First to Comment