Press "Enter" to skip to content

জীবনতলা থেকে কার্তুজ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : জীবনতলার কার্তুজ কাণ্ডে এ বার হাসনাবাদ থেকে গ্রেফতার আরও ১ দুষ্কৃতী।

জানা যায়,হাজি রশিদ ওই বন্দুকটি বেআইনি ভাবেই কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের দোকান থেকে কিনছিল।জীবনতলা থানার অস্ত্র মামলায় বেঙ্গল এসটিএফের হাতে এবারগ্রেফতার আরও এক।উদ্ধার হয়েছে কার্তুজ-সহ একটি ডবল ব্যারেল বন্দুক। ধৃতের নাম ফারুক মল্লিক। ৩০ বছর বয়সি ফারুক উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ার বাসিন্দা।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলার যে হাজি রশিদ মোল্লার বাড়ি থেকে ১৯০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছিল, ফারুক সেই হাজি রশিদের কাছ থেকেই ডবল ব্যারেল বন্দুকটি কিনে ছিলেন বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতার একটি দোকান এসটিএফের নজরে আসে।রবিবার ফারুককে আলিপুরের এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে নতুন তথ্যের খোঁজ পেতে চায় পুলিশ।শুক্রবার রাতে জীবনতলা থানার ঈশ্বরীপুরে সত্তর বছরের হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফ। সেখানেই খোঁজ মেলে বিশাল পরিমাণ কার্তুজ। হাজি রশিদের বাড়ি থেকে ১৯০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়।

হাজি রশিদকে গ্রেফতারের পর আরও তিন জনের নাম উঠে আসে। তার পরে একে একে গ্রেফতার হয় উ: ২৪ পরগনার হাসনাবাদের আশিক ইকবাল গাজি, আব্দুল সেলিম গাজি ও নদিয়ার শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। জয়ন্ত কলকাতার এক বন্দুকের দোকানের কর্মী। ধৃতদের জেরা করেই উঠে আসে ফারুকের নাম। শনিবার রাতে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়।কলকাতার বিবাদী বাগ চত্বরে লাইসেন্স বন্দুকের ওই বহু পুরোনো দোকান শনিবার রাতেই সিল করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা।

জানা যায়, বিবাদী বাগ চত্বরের ওই অস্ত্রের দোকানের স্টক রেজিস্ট্রারে বেশ কিছু গরমিল নজরে এসেছে। দোকানের মালিক-সহ বেশ কয়েক জন কর্মীকেও এসটিএফ জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেও সূত্রের খবর।আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *