পুলিশের ধারণা, অনেকদিন ধরে টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। নিজস্ব ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: আসানসোলের সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের সাত বছর বয়সি এক ছাত্রকে অপহরণ করার চেষ্টা ব্যর্থ হলো | পালিয়ে যেতে বাধ্য হল দুষ্কৃতীরা |
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রটি রানিগঞ্জের এক শিল্পপতির নাতি | স্কুলে যাওয়ার সময় ছাত্রটিকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলায় অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয় ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসানসোলের সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের সাড়ে সাত বছর বয়সি ওই ছাত্র স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়ির গাড়িতে করে যাচ্ছিল, তখন জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত বোগড়ার কাছে কয়েকজন দুষ্কৃতী সেই গাড়িটি ঘিরে ফেলে। এমন ঘটনা চোখে পড়তেই স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ হয় | বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন তাদের বাধা দেয়। ফলে দুষ্কৃতীরা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়।
আচমকা এমন ঘটনায় সবাই হতভম্ভ হয়ে যায়। কেন এবং কী উদ্দেশ্যে এই অপহরণের চেষ্টা তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়ে যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করে ।
পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রটি আসলে রানিগঞ্জের শিল্পপতি রামকুমার সরদারের নাতি রেহান | রামকুমারবাবু জানান, অন্যান্য দিনের মতো সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজেদের গাড়িতে করে স্কুলে যাচ্ছিল তাঁর নাতি রেহান, এমন সময় দুষ্কৃতীরা গাড়িটি আটকায় এবং স্থানীয় লোকজনদের হস্তক্ষেপে অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। অবশ্য অপহরণের হাত থেকে বাঁচানোর পর ওই ছাত্রকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয় ।
পুলিশের ধারণা, অনেকদিন ধরে টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। রানিগঞ্জ মোড় থেকেই হয়তো দুষ্কৃতীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পাঞ্চলে ব্যবসার পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন স্থানে শিল্প কারখানা রয়েছে ওই ব্যবসায়ীর। এখানে এমন ঘটনার পর ব্যবসায়ীর বাড়িতে ও রানিগঞ্জের ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সব থানা এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় এবং ঘটনাস্থলের বিভিন্ন দোকানে ও প্রত্যেক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে | এর পাশাপাশি বিভিন্ন সিসি ফুটেজ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন | এলাকায় পুলিশের বিশেষ নজরদারি করার আশ্বাস দেয়।
Be First to Comment