আসানসোল: কল সেন্টার খুলে দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক কলের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আসানসোল দক্ষিণ থানার বরাচক স্টেশন রোডে দুটি কল সেন্টারে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানা অভিযান চালায়। এই অভিযানে দুটি কল সেন্টার থেকে এক মহিলা সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ টি ডেক্সটপ কম্পিউটার সহ একাধিক সামগ্রী। ধৃতদের নাম হল শশী কুমার সাউ, শুভম সাউ, উমেশ সাউ ও প্রতিমা ভার্মা। চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুলিয়া ও একজন আসানসোলের ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) অরবিন্দ কুমার আনন্দ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানান।
এই সাংবাদিক সম্মেলন বৈঠকে ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) অরবিন্দ কুমার আনন্দ ছাড়াও এডিসিপি (ডিডি) মীর সাইদুল আলি, এসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ নস্কর, সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

ডিসিপি (হেডকোয়ার্টার) বলেন, পুলিশের গোপন সূত্রে এদিন সকালে খবর খবর আসে যে, আসানসোলের বরাচক স্টেশন রোডে অবৈধভাবে দুটি ভাড়াবাড়িতে কল সেন্টার চালানো হচ্ছে। সেইমতো এদিন সাইবার থানার আধিকারিকরা পুলিশের একটি টিম নিয়ে সেখানে অভিযান চালায়। সেখানে দেখা যায়, কল সেন্টারে বেশ কিছু মহিলা দুবাই-এ আন্তর্জাতিক কল করছেন। দুবাইয়ের সেইসব কল একটি চিনা সংস্থার মাধ্যমে ইন্টারসেপ্ট করে, তা আসানসোলের এইসব অবৈধ কল সেন্টারে ট্রান্সফার করা হতো। মহিলা কলাররা ফোন কথা বলতেন। তারা বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর উপায়ে কথা বলে তাদের ব্যস্ত রাখতেন।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি কল ইন্টারসেপ্ট করার অপরাধ। কলের ডিউরেশন বা কথা বলার সময় যত বেশি হবে, তত আয় হবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা একটি কল সেন্টার থেকে ১২ টি কম্পিউটার, চারটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল এবং দুটি ইন্টারনেট স্প্লিটার ও অন্য কল সেন্টার থেকে ১৩ টি কম্পিউটার, ১৩ টি হেডফোন এবং তিনটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছেন।
দুটি কল সেন্টার থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা চারজনকে শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হবে । তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে । তারপর তাদেরকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে এর সাথে আর কারা জড়িত আছে। তাদেরকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।




Be First to Comment