Press "Enter" to skip to content

সগরভাঙা গ্রামে সম্পত্তির লোভে বাবা-মাকে খুন করার অভিযোগ

দুর্গাপুর: এখানকার সগরভাঙ্গা গ্রামে এক বৃদ্ধ ও এক বৃদ্ধার একসাথে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রতিবেশীরা কেউ মেনে নিতে পারছে না ।

প্রতিবেশীদের বক্তব্য, মৃত বৃদ্ধর নাম নির্মলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় (৮৬) এবং মৃত বৃদ্ধার নাম ইলা বন্দ্যোপাধ্যায়(৮০ )।
বাড়ির গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই দুই জনের দেহ ।

জানা গেছে, বাবা-মা মরে গেছে বলে ছেলে বৌমা’র কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন । তারা ছুটে এসে দেখেন, রহস্যজনকভাবে লোহার গ্রিলে ঝুলছে বৃদ্ধ দম্পতি, আর সুর করে কাঁদছে ছেলে বৌমা ।

এমন দৃশ্য দেখে তাদের সন্দেহ হয়, ছেলে বৌমা তাদের মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে । এরপর ছেলে বৌমার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে প্রতিবেশীরা শুরু করে দেন বিক্ষোভ।

দুর্গাপুরের সগড়ভাঙায় এমন ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোকওভেন থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে চলে আসেন মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দাদা-বউদির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি । তিনি তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যুর জন্য তাঁর দাদা-বউদিকেই দায়ী করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার চালাতো তাঁর দাদা-বউদি ।

রবিবার সকালে বাড়ির সামনে দাদা, বৌদির গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি করে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন প্রতিবেশীরা । পুলিশকে ঘিরে ধরেও চলে বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত পুলিশ ছেলে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৌমা অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ।

মেয়ে চৈতালি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বাবা মা’কে প্রতিদিন মানসিকভাবে শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো দাদা ও বৌদি। তারা সম্পত্তি হাতানোর ছক দীর্ঘদিন থেকে করেছিল।
এবং এই সম্পত্তি হাতিয়েও নিয়েছিল। তারপরেও নির্মমভাবে খুন করে দিল। আমি ওদের কঠোর শাস্তি চাইছি।

প্রতিবেশীরা বলেন, ছেলে ও বউমা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে তাঁর মেয়ের কাছে যেতে দিত না । তাঁদের ভয় ছিল, বাবা মা’কে মেয়ের কাছে যেতে দিলে মেয়ের কাছে সব বলে দিতে পারে । তাই তারা বাবা মা’কে বলতো, মেয়ের কাছে গেলেই আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতো বিপ্লব আর তার বউ। সেই ভয়ে যেতেও পারত না। শেষমেষ সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে শনিবার রাতেই খুনই করে দেয় ।

প্রতিবেশীরা বলেন, “আমরা কঠোর শাস্তির দাবি করছি”।

পুজোর উৎসবের প্রেক্ষাপটে এক প্রবীণ দম্পতির এই রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে সগরভাঙ্গায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *