সভায় মলয় ঘটক, শত্রুঘ্ন সিনহা অন্য তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব ছবি
অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, আসানসোল: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আসানসোল উত্তর বিধানসভার রেলপারের বাবুয়াতলাওয়ে রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে এক কর্মীসভা আয়োজন হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের সাংসদ তথা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সংখ্যালঘু সেলের এম মোশারফ -সহ আরও অনেকে।
সংখ্যালঘু সেলের এই সভা থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দিল তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী ও জয়-পরাজয়ের বিষয়গুলি উঠে আসে এ দিনের সভায়।
সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, গত উপনির্বাচনে তিন লক্ষ ভোটে জিতে আসানসোল থেকে প্রথমবারের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বারেও তাঁকে আসানসোল থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে এই জয়ে বিরোধীরা কাকে প্রার্থী করবে তার খোঁজ পাচ্ছে না। বিজেপি শনিবার আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল। আজকেই সেই প্রার্থী নিজের ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রার্থীপদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যা প্রকারান্তরে বলা যেতে পারে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের নৈতিক জয়।
এদিন সভা শেষে মঞ্চ থেকেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এবারে জয়ের ব্যবধান তিন লক্ষ থেকে বেড়ে এক নতুন ইতিহাসের সৃষ্টি করবে তৃণমূল। শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলের সাংসদ ছিলেন, আগামীদিনেও থাকবেন।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই শত্রুঘ্ন সিনহার অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো আসানসোল কেন্দ্রের সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষেরা তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। আর বিরোধীরা তাদের পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাচ্ছে না।
অন্যদিকে শত্রুঘ্ন সিনহা সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরেই তাঁকে আমি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসাবে খেলা হবে বলে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরেই রবিবার সকালে পবন সিং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টি তাঁর ও তাঁর দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে দলের অন্য নেতারা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আমার নিজের এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণার আগে প্রথম আমার নাম ঘোষণা করেছিলেন। তাই জয়ের বিষয়ে আমি একশো ভাগ নিশ্চিত।”
Be First to Comment