কুলটি : সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে ভিন জেলা থেকে চুরি করা জেসিবি পাচার আটকে দিল কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ।
জেলা পরিবর্তন করে, গাড়ির চেচিস নম্বর প্লেট বদলের আগেই হাতে নাতে দুষ্কৃতিদেরকে ধরে ফেলল পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, পুরুলিয়ার হুড়া থানা এলাকা থেকে গত ৭ জানুয়ারি চুরি যায় একটি জেসিবি। সেই জেসিবি ডিশেরগড় ঘাট ধরে পাচার করা হয় বলে, তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ।
এই বিষয়টি শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ রিয়াজউদ্দিন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বুঝতে পারেন। এরপর সেই ফুটেজের সূত্র ধরে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। তখনই ডিসেরগড় ঘাটের পূর্বদিকের জঙ্গলে নদীর ধারে সেই জেসিবিটিকে দেখতে পান ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পুলিশের অন্য আধিকারিকেরা। সে সময় ওই জেসিবির নম্বর প্লেট খুলে চেচিস নম্বর বদলানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতিরা। নম্বর রি-পাঞ্চিং করার সময়ই হঠাৎ করেই পুলিশের অতর্কিত অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়ে ডিসেরগড় এলাকার ৫ নম্বর এলাকার বাসিন্দা বছর ৩০ র ভোলা প্রসাদ ও পানাগড় বাজার এলাকার বাসিন্দ বছর ৩৫ র হাফিজুর রহমান।

তবে অন্য একজন পুলিশের এই অভিযানের সময়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তার খোঁজেও পুলিশ গোটা এলাকা ঘিরে ধরে চালাচ্ছে তল্লাশি বলেও জানা যায়। একইসাথে ওই এলাকা থেকে পুলিশ ওই চুরি যাওয়া জেসিবিতে নম্বর পাঞ্চিং করার বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করে। রাতেই জেসিবি সহ ধৃত ওই দুজন শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয় । পরে এ বিষয়ে পুরুলিয়ার হুড়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
হুড়া থানার পুলিশ ধৃতদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে পেশ করে। তবে এই গাড়ি চুরি ও তা পাচারের চক্র কতটা সক্রিয় রয়েছে ও তারা অন্য কোন পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, সে সকল বিষয় অবশ্য ওই দুষ্কৃতিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই স্পষ্ট হবে বলেই জানিয়েছে এক পুলিশ আধিকারিক ।
উল্লেখ্য আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গঠনের পরই বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকায় নজরদারি কড়া করার জন্য বেশ কয়েকটি ঘাটে সিসিটিভি নজরদারি অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তারফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অপরাধ মূলক কাজকর্ম রুখে দিতে সক্ষম হচ্ছে পুলিশ। এ বারও সেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দ্রুত দূষ্কৃতিদেরকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি, চোরাই জেসিবি মেশিন উদ্ধার করার সফলতা পেল পুলিশ।




Be First to Comment