Press "Enter" to skip to content

পশ্চিম বর্ধমানে বর্ষাকালে ডেঙ্গু মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি, আসানসোল ও দুর্গাপুরের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে জেলাশাসক

আসানসোল : বর্ষাকাল আসার সঙ্গেই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ডেঙ্গু প্রায় মহামারী আকার ধারণ করে। এবার সেই ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে।

তার জন্যে বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের সভাপতিত্বে আসানসোলে জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হল-এ আসানসোল ও দুর্গাপুরের সব পাবলিক সেক্টর বা রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে একটি বৈঠক হয়।

পাবলিক সেক্টর বা রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বলতে ইসিএল বা ইস্টার্ন কোল ফিল্ডস লিমিটেড, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি, বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপি, দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে আসন্ন বর্ষাকালে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে এইসব রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার প্রতিনিধিদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের জেলাশাসক বলেন, এবার বর্ষাকালে ডেঙ্গু যাতে ভয়াবহ রূপ না নেয় তার জন্য ড্রাই সেশন বা শুষ্ক মৌসম থেকে এর মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্য বিভাগ, রুরাল আরবান ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বা গ্রামীণ নগর উন্নয়ন বিভাগ সহ অন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলার জন্য এদিন এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এদিনের বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে যে, তাদের নিজ নিজ এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন কোথাও জল জমা হতে না দেওয়া, এলাকায় সাফাই ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রতিষ্ঠানের কোয়ার্টার এবং অফিসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজরদারি চালানো। এর কারণ হল, জেলা প্রশাসন ও পুরনিগমের পক্ষে এইসব প্রতিষ্ঠানের এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি ওইসব এলাকা ওই প্রতিষ্ঠানের।

জেলা প্রশাসনের তরফে তাদেরকে বলা হয়েছে, এই দায়িত্ব সংস্থাকে নিতে হবে। এদিন তাদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলাশাসক জানান, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করা হবে। জেলাশাসক বলেন, তাদের দেওয়া নির্দেশিকা মানা হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি মাসে এলাকা পরিদর্শনও করা হবে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *