Press "Enter" to skip to content

‘এরা মামলাকারীর দল, এরা দেশ বিক্রি করার দল’, বিজেপি-কে তুলোধনা অভিষেকের

প্রবোধ দাস, পুরুলিয়া: “৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ১১৫ জন লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন পুরুলিয়া জেলা থেকে। অর্থাৎ, রাজ্য সরকার তিন বছর লোককে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে। বিনা পয়সায় রেশন দিচ্ছে মানুষকে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মানুষের ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে। আর অপরদিকে বিজেপি প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে চলেছে। এখন গ্যাস দাম হল ১২০০ টাকা। চা পাতা ছিল ১০০ টাকা সেখানে বেড়ে হয়েছে ২৭০ টাকা, সরষের তেল বর্তমানে ১৮০ টাকা। কী করেছে বিজেপি।” আজ, মঙ্গলবার পুরুলিয়ার তুলির ময়দান থেকে শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে এমনটাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ময়দান থেকেই তিনি ডাক দিয়ে গেলেন লড়াই হবে ভোটের ময়দানে।

অভিষেক বলেন, “ধাপ্পাবাজ বিজেপি পুরুলিয়া জন্য কি করেছে ওদের রিপোর্ট কার্ড দিতে বলুন। আর আমরা রিপোর্ট কার্ড দিচ্ছি। আপনারা লোকসভার আর বিধানসভা দুটো নির্বাচনে বিজেপিকে জয়ী করেছেন। তার পরিণাম কী পেয়েছেন। পুরুলিয়াকে প্রতি ক্ষেত্রেই বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। একশো দিনের কাজের টাকা আটকে দিয়েছে, আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে, মিড ডে মিলের টাকা দিচ্ছে না, আশা কর্মী টাকা দিচ্ছে না। এরা সব পাওনা টাকা দিচ্ছে না। আর আপনারা বিজেপিকে ভোট দেবেন। এদের জিজ্ঞাসা করুন এরা পুরুলিয়ার জন্য কি করেছে। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো কে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি কি করেছেন পুরুলিয়ার জন্য।”

এ দিনের নির্বাচনী সভা থেকে কার্যত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, “আমরা কী করেছি, আমরাও ওদেরকে রিপোর্ট কার্ডে দেখাব। ওরা পারবে? ওরা মিটিং মিছিল সভা করছে, ওদেরকে বলুন আপনারা পুরুলিয়ার জন্য কী করেছেন। আপনারা জানেন পুরুলিয়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের যাকে প্রার্থী করা হয়েছে শান্তিরাম মাহাতো তিনি প্রথমবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন লড়েছেন কত সালে। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম শান্তিরামবাবুকে। তিনি বলেছেন ১৯৭৯ সাল থেকে। সেই সময় বিজেপির অনেকে জন্মই হয় নাই। শান্তিবাবু প্রতিষ্ঠিত বাড়ির ছেলে। অপরদিকে জ্যোতির্ময় সিং মহাতাকে মানুষ দেখতেই পাইনি। এদের ভোট দেবেন?”

সন্দেশখালির সাম্প্রতিক ঘটনার কথাআ তুলে ধরে অভিষেক আরও বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে এরা বড় বড় কথা বলত। আপনারা দেখেছেন একটি ভিডিও ক্লিপে বিজেপির এক নেতা নিজেই স্বীকার করেছে, যে আমরা মহিলাদেরকে ২০০০ টাকা দিয়ে মিথ্যে মামলা করিয়েছি। সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছি। এরা সন্ত্রাসবাদীর দল। এরা মামলাকারীর দল। এরা দেশ বিক্রি করার দল। তাই এদেরকে ভোট দেবেন না।”

কেউ এক ইঞ্চি মাটি ছাড়বেন না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকবেন। আর বিজেপিকে বিসর্জন দিবেন। সকলে মিলে শপথ নেন বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করবো। দেশছাড়া করব। সকলে মিলে শান্তি বাবুকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন। এই আশায় ভরসা রেখে গেলাম আপনাদের কাছে।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *