দুর্গাপুর : গ্রাম দখলের লড়াই, রাতভর চলে বোমাবাজি, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয় । দুর্গাপুর লাউদোহা -ফরিদপুর থানার অন্তর্গত আরতি গ্রামে চলে ব্যাপক বোমাবাজি, বাইক ভাঙচুর বাড়িতেও বোমাবাজি, মহিলাদের মারধরের অভিযোগ।
গ্রাম দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা। আরতি গ্রামের পাশেই রয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। তাই রয়েছে জমির কারবারিদের রমরমা, আর সেখান থেকেই আসে মাসোহারা, সেই টাকা বন্ধ হওয়ায় গ্রামের মানুষের অভিযোগ দুর্গাপুর স্টিল প্লান্ট এর শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আরতি গ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ নফিজুলের বিরুদ্ধে । আরতী গ্রামে শাসকদলের নেতা শেখ নফিজুল ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের মধ্যে তার বিরোধী গোষ্ঠীর চার নেতার বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে ।
উত্তপ্ত দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার আরতি গ্রাম। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার পুলিশ বাহিনী আসে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকটি তাজা বোমা ও ব্যবহার হওয়া কার্তুজ উদ্ধার করে।
বিমানবন্দরের জমি নিয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। সোমবার রাতে সেই দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছাতেই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বচসা তারপরেই শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি।
তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী শেখ মফিজুল জানান, এলাকার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা শেখ নফিজুলের নেতৃত্বে গোটা এলাকায় সন্ত্রাস চলে। বিমানবন্দরের জমি কারবারি এবং তোলাবাজি সহ নানান অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত হয় দীর্ঘদিন ধরে । কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর করা হয়।
রাতে সন্ত্রাস তৈরি করতে নফিজুল সহ তার কয়েকজন সঙ্গী হামলা চালায়। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা শেখ নফিজুল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে, পুলিশতো তদন্ত করছে। যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, এটা আবার নতুন কি ? মানুষ বুঝতে পারছে বাংলার অবস্থা। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে জবাব দেবে মানুষ।
Be First to Comment