Press "Enter" to skip to content

আবাস যোজনা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করলেন ডায়মন্ড হারবারের এক যুবক

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, ডায়মন্ড হারবার: আবাস যোজনার ঘর নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অনেক ব্যক্তির পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও সরকারি ঘর পাওয়ার আবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই আবহে সততার এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন ডায়মন্ড হারবারের বছর তিরিশের এক ব্যক্তি।

নিজেই পাকা ছাদের বাড়ি তৈরি করার পর প্রশাসনের কাছে আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন ওই যুবক। ডায়মন্ডহারবার-২ ব্লকের পাতড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মড়িগাছি গ্রামের বাসিন্দা ৩০ বছরের আনিসুর রহমান। বাড়িতেই টিউশন পড়ান।

২০১৮ সালে টালির চালের বাড়ি ছিল তাঁদের। সেজন্য ছবছর আগে আবাস যোজনার ঘর পেতে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এর পর নিজেরাই আস্তে আস্তে ইটের দেওয়াল ও পাকা ছাদের বাড়ি তৈরি করেছেন। তবে পুরনো আবেদন অনুযায়ী,বর্তমান তালিকায় তাঁদের নাম উঠেছে।

বর্তমানে তাঁদের পাকা ছাদের বাড়ি হয়ে যাওয়ায় বিডিওর কাছে রীতিমতো লিখিত আবেদনে বলেছেন, ‘এখন তাঁরা ইটের দেওয়াল ঘেরা পাকা ছাদের বাড়িতে থাকেন। তাই তালিকা থেকে তাঁর নাম বাতিল করে দেওয়া হোক। পরিবর্তে তালিকায় গ্রামের প্রকৃত কোনও আশ্রয়হীন দরিদ্র বাসিন্দার নাম ওই তালিকায় সংযুক্ত করা হোক।’

সরকারি সুবিধা পেতে বিভিন্ন ছলাকলার আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। অপ্রকৃত প্রাপক সরকারি সুবিধা নিলে প্রকৃত বাসিন্দারা নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। জনসাধারণের কর্তব্য মনে করিয়ে দিয়ে আনিসুর বুধবার বলেন, “শুধুমাত্র সরকারকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। সাধারণ মানুষেরও কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সেটুকুই পালন করেছি মাত্র।”

আনিসুরের এই সততায় খুশি প্রশাসনও। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ বলেন, “আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা প্রত্যেক আবেদনকারীর ঘরে ঘরে গিয়ে প্রশাসন আবেদনের সত্যতা যাচাই করছে। যাঁদের প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরাই যেন ঘর পান। এক্ষেত্রে জনৈক ব্যক্তি যে নজির স্থাপন করেছেন তা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রশংসনীয়।” অন্যদেরও এভাবে নিজে থেকে এগিয়ে এসে এইভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাহলে প্রশাসনের ও কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।

More from জেলায় জেলায়More posts in জেলায় জেলায় »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *