উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতর ডাঁই করে ফেলে রাখা হয়েছে জলের পাইপ।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। ঘটনাটি জয়নগর-২ ব্লকের নয়পুকুরিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
গ্রামের মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৯৯৪ সালের ১৯ আগস্ট বাম সরকারের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশান্তকুমার শূর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। এটি ময়দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। এখান থেকে ব্লক হাসপাতাল নিমপীঠ অনেকখানি দূরে, তাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে বহু মানুষ নির্ভরশীল। কিন্তু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা খুবই খারাপ বলে অভিযোগ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাসপাতালের সামনে নোংরা জল নিকাশি নালা কোনোদিন পরিষ্কার হয় না, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, সুস্থ রোগী এলে অসুস্থ হয়ে পড়বে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে। তার ওপরে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এলাকার ভিতরে প্রচুর জলের পাইপ ফেলে রাখা হয়েছে, যত্রতত্র ইমারতি দ্রব্য পড়ে আছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

আরও অভিযোগ, এখানে নিয়মিত চিকিৎসক থাকেন না, কখনো থাকেন কখনো থাকেন না, নার্সরাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা সামলান। ওষুধ দেন। বছরের-পর-বছর হাসপাতাল চত্বরে জলের পাইপ পড়ে রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো নজর দেন না বলেও অভিযোগ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেল, কয়েক বছর আগে এই এলাকায় জলের পাইপের কাজের জন্য রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর মাত্র কয়েক দিনের জন্য এই জায়গাটা চেয়ে ছিলে। আর এখন জল প্রকল্পের কাজের সমস্তটাই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এলাকার ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে বোঝা যাবে না এটা কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্র না কি জল প্রকল্পের গোডাউন।
এ ব্যাপারে জয়নগর-২ ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেল, “নয়পুকুরিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিতরে রাখা জলের পাইপের ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে বারবার বলা সত্ত্বেও তাঁরা এখান থেকে কোনো ভাবেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে না। ফলে রোগী বা রোগীর পরিবারের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা তা বুঝতে পারছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবার আমরা জানাব।”

তবে সামনের জল নিকাশি নালা পরিষ্কারের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি স্থানীয় ময়দা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়।




Be First to Comment