অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দুর্গাপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিধাননগরের পাম্প হাউস মোড়ের কাছে আগুনে পুড়ে ছাই বিজেপির পার্টি অফিস।
খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে, ছুটে আসে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ, আসেন বিজেপি কর্মীরা। উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা এরপর তৃণমূল আর পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে দেয়।
বিজেপি জেলার নেতা চন্দ্রশেখর ব্যানার্জির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনায় জড়িত । বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে ।

এদিকে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ আগুন লাগে কার্যালয়ে। বাঁশ ও দরমার তৈরি কার্যালয় মুহুর্তের মধ্যে দাউদাউ করে জ্বলে ছাই হয়ে যায় । দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু আগুনে কার্যালয়টি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। কার্যালয়ের কোনও অস্তিত্ব আর নেই।
বিজেপি জেলা নেতা চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়েছে। এর আগেও এই কার্যালয়টি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল”।
যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা উত্তম মুখার্জি বলেন,“তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে”।
বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, “এর আগেও ২০২১ সালে বিজেপির এই কার্য্যালয়ে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা।এবার দিনের বেলায় পার্টি অফিস আগুন লাগিয়ে দিল তৃণমূলের গুন্ডারা । এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে লাগানো ব্যানার, পোষ্টার ছিঁড়ে দিয়েছে শাসকদলের নেতা-কর্মীর আমরা এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবো। যদি দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ে তাহলে দল লাগাতার আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপির নেতৃত্বের ।”
সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত বিধাননগর পাম্প হাউস এলাকায়।
তবে ওই পার্টি অফিস ছাড়াও আশপাশের শুকনো পাতাতেও ভয়াবহ আগুনের ছবি দেখা গেছে। কী কারণে এই আগুন লেগেছে সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।




Be First to Comment