উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : এবার জয়নগরের এক নাবালিকা কে অপহরণ। বারুইপুর থেকে উদ্ধার করলো পুলিশ।মায়ের বকুনির জেরে বাড়ি ছাড়ে ১৪ বছরের এক নাবালিকা। কিছু যুবক পানীয় খাইয়ে বেহুঁশ করে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে বারুইপুর বাইপাস পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে পালায় তারা।
বুধবার রাতে টহল দেওয়ার সময় বারুইপুর থানার আইসি সৌম্যজিত রায় রাস্তার পাশে এক নাবালিকাকে বেহুঁশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে তাকে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসায় সাড়া দেয় নাবালিকা। জ্ঞান ফিরলে সে তাঁর বাড়ির ঠিকানা ও ফোন নাম্বার জানায় পুলিশকে। সেই সুত্র ধরে তাঁর বাড়ির লোককে খবর দেন তাঁরা। বাড়ির লোক এসে ওই নাবালিকাকে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বারুইপুর পুরসভার স্থানীয় পুরপিতা তথা বারুইপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান গৌতম কুমার দাস বলেন, কেউ বা কারা ওই নাবালিকাকে ওই রাস্তার মধ্যে ফেলে দিয়ে যায়।তাঁর গলায় আঘাত রয়েছে এবং সেটা শ্বাস রোধ করার চেষ্টার জন্যই হয়েছে বলে মনে হয়।আর এই ঘটনায় রীতিমতো ভয়ে ও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।এ ভাবে ভর সন্ধ্যায় বাইরে থেকে যেভাবে নাবালিকাকে ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা তাতে তাঁরা আতঙ্কিত।

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া নাবালিকার বাড়ি জয়নগর থানার ধোসা এলাকাতে।
উদ্ধার হওয়া নাবালিকার গুরুতর অভিযোগ, তাকে একটি সাদা গাড়িতে করে মুখে কালো কাপড় বাধা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে কোল্ড ড্রিংকস ও এগরোল জোর করে খাওয়ানো হয়। এমনকি তাঁর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুনেরও চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।এই ঘটনায় পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
এ ছাড়াও অপহরণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।এছাড়া খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। কারা, কি উদ্দেশ্যে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করলো ও শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে ফেলে রেখে গেল তাঁর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেল।আর এই ঘটনায় আতঙ্কিত ঐ নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার মা বৃহস্পতিবার বলেন,তাঁর স্বামী নেই। তিনি একাই মেয়েকে মানুষ করেন। কী করে ও কেন এই ঘটনা ঘটলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না।




Be First to Comment