আসানসোল পুরনিগম দুর্গাপুজো ২০২৩-এ অসাধারণ পারফর্ম করা পুজো কমিটিগুলিকে সম্মানিত করার জন্য এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আসানসোলে কুমারটুলির এক মৃৎশিল্পীকে অসামান্য প্রতিমা তৈরী করার জন্য সম্বর্ধনা দিল আসানসোল পুরসভা। শ্রেষ্ঠ মৃৎশিল্পী হিসাবে তুলে ধরা হল মৃৎশিল্পী রণজিৎ পালকে ।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় নিজে তার হাতে মানপত্র এবং মেমেন্টো তুলে দিলেন।
জানা গেছে, মহিশীলার বাসিন্দা মৃৎশিল্পী রণজিৎ পাল বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ভাবে প্রতিমা তৈরী করেন । তাঁর হাতের প্রতিমা রাজ্যের বাইরেও যায় । এই বছর রাজস্থানে পাড়ি দেবে তাঁর হাতে তৈরী বিগ বাজেটের দূর্গা প্রতিমা । এহেন মৃৎশিল্পীকে শ্রেষ্ঠ শিরোপা দেওয়াটা উচিত বলে মনে করেন আসানসোলবাসীরা।

আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে পৌরনিগম এলাকার ৫০টি দুর্গাপূজা কমিটিকে তাদের অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেওয়া হয় সেই সব কমিটিকে, যারা দুর্গাপুজোর সময় আকর্ষণীয় প্রতিমা, দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল, চমকপ্রদ আলো এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ভাসিমুল হক, বোরো চেয়ারম্যান ডক্টর দেবাশীষ সরকার, শেখ শানদার, শিবানন্দ বাউরি এবং আরও অনেক কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
এই সমস্ত আধিকারিকরা দুর্গাপুজো কমিটিগুলির উৎসর্গ, কঠোর পরিশ্রম এবং সৃজনশীলতাকে প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও তাদের এমন ধরনের কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
এই অনুষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্য ছিল শহরে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আরও উন্নতি করা, এবং পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

অনুষ্ঠানে শহরের বিশিষ্ট নাগরিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন এবং দুর্গাপূজা কমিটিগুলির এই অসাধারণ কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি আশা করা হচ্ছে, পূজা কমিটিগুলি পরিচ্ছন্নতা এবং সৌন্দর্যায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখবে।




Be First to Comment