অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস সংবাদদাতা, কুলটি ও আসানসোল : চিনাকুড়ি শুটআউট কাণ্ডে গ্রেফতার হলো আরো দুজন। এই ঘটনায় কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এখনো পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করল।
গত ১৫ এপ্রিল হওয়া এই চিনাকুড়ি শুটআউট কাণ্ডে রবিবার রাতে যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম হলো অবিনাশ ওরফে রবীন যাদব ও রাহুল বাউরি।
চিনাকুড়ি বাজারে এলাকায় বেসরকারি মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানির কর্ণধার উমাশঙ্কর চৌহানকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতিরা ।

কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকে আগেই গ্রেফতার করেছিল। তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে রবিবার আরও এই ঘটনায় যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানির ম্যানেজার অবিনাশ যাদব কোম্পানির কয়েক লক্ষ টাকা হিসাব গরমিল করেছিল। তা কোম্পানির কর্ণধার উমাশঙ্কর চৌহান কোনও ভাবে জেনে ফেলে।
এরপর উমাশঙ্কর অবিনাশকে কেন সে এমন ঘটনা ঘটালো তা যেমন জানতে চায়, পাশাপাশি সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এরপরই অবিনাশ উমাশঙ্করকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে। ওই কোম্পানিরই কর্মচারী রাহুল বাউরিকে সঙ্গে নিয়ে দীপ বাউরি ও শিবনাথ রজককে টাকা দিয়ে খুন করায় উমাশংকর চৌহানকে।
বিভিন্ন সূত্র মারফত তথ্য নিয়ে এই খুনের ঘটনার পরে পুলিশ প্রথমে দীপ বাউরি ও শিবনাথ রজককে গ্রেফতার করে।
তাদেরকে ১০দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তাদের কথা মতো রবিবার উমাশঙ্করের ম্যানেজার অবিনাশ যাদব ও কোম্পানির ডাটা এন্ট্রি অপারেটার রাহুল বাউরিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কিন্তু গ্রেফতার হওয়ার পরে অবিনাশ যাদব অসুস্থ হয়ে যায়। যে কারণে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাহুল বাউরিকে সোমবার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ আসানসোল আদালতে পাঠায়। তবে তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য পুলিশের তরফে কোনও আবেদন করা হয়নি।
জানা গেছে, তাকে জেলে রেখে টিআই প্যারেড করাতে চায় পুলিশ। সেই আবেদন এদিন পুলিশের তরফে করা হয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়া গেলে আগে টিআই প্যারেড করানো হবে ও তারপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেবে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার ২০ দিনের মধ্যেই কিনারা করার পাশাপাশি সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার দিন কোম্পানিতে ঢুকে দীপ বাউরি উমাশঙ্করকে গুলি চালিয়ে খুন করেছিল। রবিবার গ্রেফতার হওয়া অবিনাশ চিনাকুড়ির বাসিন্দা। অন্যদিকে রাহুল বাউরি নিয়ামতপুরের টহরমে মামাবাড়িতে থাকত।




Be First to Comment