Press "Enter" to skip to content

বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার অদূরে ঘুমন্ত দুধ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ

মিহিজাম ( ঝাড়খণ্ড) ও আসানসোল : বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার অদূরে মিহিজামের কানগুইতে এক দুধ ব্যবসায়ীকে ঘুমের মধ্যে গুলি করে খুন করলো দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ব্যক্তি তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে খাটে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত দুধ ব্যবসায়ীর নাম নন্দলাল যাদব ( ৪০)।

খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে। ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। জানা গেছে, দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালায় । একটি গুলি তাঁর বুকে লাগে। একটি গুলি মাথায় ও আরো একটি গুলি কানের নিচে লাগে । এর ফলে ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তি মারা যান।

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত ও নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনার সময় মৃত নন্দলাল যাদব ও দূষ্কৃতিদের মধ্যে সম্ভবত ধস্তাধস্তি হয়েছিল। তার কারণ অনেক জায়গায় মাটিতে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। খুব কাছ থেকে দূষ্কৃতিরা ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে ওই ব্যক্তি বাড়ির বাইরে খাটে শুয়ে ছিলেন। যেখানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

ঘটনার পরে এদিন সকালে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা বলেন, কয়েকদিন আগে আশপাশের কয়েকজন যুবকের সাথে এই এলাকায় এসে মাদক সহ নেশার জিনিস খাওয়া নিয়ে এই দুধ ব্যবসায়ীর বচসা হয়েছিল । জানা গেছে, গত ৩/৪ বছর ধরে মৃত নন্দলাল যাদব মিহিজামের কানগুইয়ের বাড়িতে থাকতেন না। তিনি শাস্ত্রী নগরে জমি নিয়ে তিনটি গরু নিয়ে একটি খাটালে বসবাস করছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি সাইকেলে করে কয়লার ব্যবসাও করতেন।

সোমবার সকালে লোকজনেরা দুধ নিতে খাটালে আসেন। তখন তারা নন্দলালকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রবিবার রাতে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বাজি ফাটানো হচ্ছিলো। যে কারণে তারা গুলির শব্দ শুনেও, উপেক্ষা করেন করেন।

এদিন সকালে মিহিজাম থানার ইনচার্জ রাজীব কুমার, এএসআই গণেশ যাদব, ব্রিজন রাম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামতাড়ার হাসপাতালে পাঠায়। তদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানা ইনচার্জ। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের ধরা সহজ হবে বলে থানার ইনচার্জ। ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোল বা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি খুনের মামলা করেছে।

More from UncategorizedMore posts in Uncategorized »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *