Press "Enter" to skip to content

পরিকাঠামো উন্নয়ন না করে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি, বিক্ষোভ শ্রমিক সংগঠনের

অনলাইন কোল ফিল্ড টাইমস আসানসোল : চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ৭০০ ইঞ্জিন করা হয়েছে ।কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কর্তৃপক্ষ কোনও রকম সহযোগিতা করতে নারাজ।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চলতি পরিকাঠামোতেই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। এটা যে সম্ভব নয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষও ওয়াকিবহাল।

এই অবস্থায় ব্যাপক অফলোডিং চলছে, ফলে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আউটসোর্সিং-এর দিকে কারখানাকে নিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে রেল কর্মীদের প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে।

এই আতঙ্ক থেকেই চিত্তরঞ্জনের ১০টি শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে আজ, ৩ মে সিএলডব্লু’র প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং শূন্যপদ পূরণ করলেই বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা এখানেই সম্ভব।

অথচ কারখানার বাইরে থেকে কর্মীদের ভেতরে আনা ছাড়া অন্য কোন পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন না। এরই সঙ্গে চলতি বছরের জয়েন্ট প্রসিডিউর অর্ডার জেপিও-তে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে “যে কোনও উপায়ে” উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে।

এখানেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।
এমনই দাবি লেবার ইউনিয়ন সম্পাদক রাজীব গুপ্তের। আইএনটিইউসি, সিআরএমসি সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন রেল শ্রমিকেরা এতদিন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন অন্যান্য রেল কারখানার সঙ্গে, কিন্তু বর্তমানে প্রতিযোগিতা করতে হবে ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে।

রেল শ্রমিকদের পাশেই কারখানার ভেতরে কাজ করবেন ঠিকা শ্রমিকেরা। স্থায়ী কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে অতিরিক্ত ইঞ্জিন উৎপাদন করানো হচ্ছে কিন্তু তার সুফল শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে না।

কেন্দ্রিয় শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ কুমার বললেন শ্রমিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তারা পিছপা হবেন না।

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করেছেন। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদীপ ব্যানার্জি, অমিত মালঙ্গি, প্রসূন ব্যানার্জি, কে এম পান্ডে, অচিন্ত্য সূপকার, সৌগত ভট্টাচার্য, এসএন সিং , গোলাপ যাদব, সুভাষ ব্রহ্ম।

প্রতিবাদী এই সভায় রাস্তার দুই ধারে শ্রমিকদের ভিড় উপচে পড়ে, এলাকা ছেয়ে যায় বিভিন্ন রঙের পতাকা ফেস্টুনে। সভা শেষে মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তা গ্রহণ করেন চিফ পার্সোনেল অফিসার অমিতাভ চৌধুরী।

চিফ পার্সোনেল অফিসার পরবর্তী সময়ে জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন বলে তাদের জানিয়েছেন।

More from UncategorizedMore posts in Uncategorized »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *