Press "Enter" to skip to content

ইন্ডিয়া পাওয়ারের সিএসআরে নারী শিক্ষায় জোর, “মেধা”য় আসানসোলের ৫ কৃতি পড়ুয়াকে দু’বছরের বৃত্তি

আসানসোল: কর্পোরেট সোশাল রেসপনসেবলিটি বা সামাজিক দায়বদ্ধতায় ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (আইপিসিএল) “মেধা”র মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া হল। এই বছর অর্থাৎ ২০২৪-২৫ শিক্ষা বর্ষে এই প্রকল্পে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মোট ৫ মেধাবী কৃতি পড়ুয়াকে এই বৃত্তি দেওয়া হল।

শুক্রবার দুপুরে আসানসোলের সৃষ্টিনগরে শ্রীহরি গ্লোবাল স্কুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ইন্ডিয়া পাওয়ারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিষেবা এলাকার পাঁচ ছাত্রীকে সম্মানিত করা হয়। তাদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার জন্য দুই বছর তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে।

ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডের হোলটাইম ডিরেক্টর সোমেশ দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে হওয়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, ইসিএলের ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) নীলাদ্রি রায়, ইন্ডিয়া পাওয়ারের দুই জেনারেল ম্যানেজার সর্বেশ কুমার ও অজয় ভৌমিক এবং আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সেক্রেটারি স্বামী সৌমাত্বানন্দজী মহারাজ।

ইন্ডিয়া পাওয়ারের শতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসাবে ২০১৯ সালে চালু করা হয় এই ” মেধা” প্রকল্প। দারিদ্র্য, সামাজিক অসুবিধা এবং শিক্ষার অভাবের চ্যালেঞ্জগুলিকে সরাসরি মোকাবিলা করতে না পেরে অনেক মেয়েকে স্কুল ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। শিক্ষার মাধ্যমে মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য এই কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি ভারত সরকারের “বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও” উদ্যোগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। যার লক্ষ্য হলো মেয়েদের উন্নতি ও তাদেরকে শিক্ষিত করা।

এদিন আলো হালদার ( বিজপুর নেতাজি শিক্ষা নিকেতন, জামুড়িয়া), মোসেনা খাতুন ( দোমোহনী কেলেজোড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বারাবনি) , পায়েল মাজি( সত্তোর উচ্চ বিদ্যালয়, জামুড়িয়া) , বৃষ্টি মাঝি( বোগড়া বিবেকানন্দ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়,জামুড়িয়া) ও সুমাইয়া সুলতানা (বোরিংডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, জামুড়িয়া)।

এই প্রসঙ্গে সোমেশ দাশগুপ্ত বলেন, “মেধা” শুধু স্কলারশিপ প্রোগ্রাম নয়। এটি জীবন পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি। অল্পবয়সী মেয়েদেরকে শিক্ষায় আলোকিত করে, আমরা একটি শক্তিশালী, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অবদান রাখছি। যা শেষ পর্যন্ত আমাদের দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবে। গত ছয় বছরে এই উদ্যোগটি যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তার জন্য আমরা অবিশ্বাস্যভাবে গর্বিত। সংস্থার তরফে বলা হয়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পড়ার জন্য ২ বছর প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

More from UncategorizedMore posts in Uncategorized »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *