অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংহ ও তাপস রায় লোকসভায় বিজেপির টিকিট পেয়ে গেলেন। অন্য দিকে, জল্পনা মতোই তমলুকে বিজেপির প্রার্থী হলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্র বদল হয়ে গেল মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষের।
মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দিলীপকে প্রার্থী করা হল বর্ধমান-দুর্গাপুরে। অন্য দিকে, মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী হলেন আসনসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এই ঘটনায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে খোদ বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মনেও। উল্লেখযোগ্য ভাবে, দিলীপকে যে তাঁর নিজের কেন্দ্র থেকে সরানো হতে পারে, তেমন একটা জল্পনা চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। জল্পনা মতোই সরতে হল দিলীপকে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দলের মধ্য়ে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ। ২০১৯ সালে দলের অন্দরে যে দাপট ছিল দিলীপের সেই দাপট আজ নেই বললেই চলে। তবে একটা সময় বিকর্তিক মন্তব্যের জেরে বার বার নাম জড়়িয়েছিল দিলীপের। রাজ্য সভাপতির পদও যায় তাঁর। ২০১৫ সালে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই তাঁর রাজ্য সভাপতি পদ চলে যায়। আর এ বার নিজের গড়ে লড়ার সুযোগটাও গেল।
তবে দিলীপ আগেই জানিয়েছিলেন, দল যা বলবে সেটা তো মানতেই হবে। কেন্দ্র বদলের পর তাঁর মন্তব্য, “কীর্তি আজাদকে (বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থী) কে জানেন? গোটা বাংলাকে আমি চিনি। ওখানে একসময় সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। কোনো মান অভিমান নয়। কাল সকালেই যাচ্ছি ওখানে।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মেদিনীপুরকে হাতের তালুর মতো চেনেন দিলীপ। কিন্তু মেদিনীপুরে তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের মধ্যেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী। তা ছাড়া, মেদিনীপুর আসনে দিলীপকে না দাঁড় করানো নিয়ে অনেক চাপানউতর চলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে। এ ধরনের জল্পনা-কল্পনার মধ্যেও দিলীপ নিজের আসনে জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু, গত সপ্তাহ পর্যন্ত মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার পর হঠাৎ করে নতুন কেন্দ্রে এসে তাঁকে জনসংযোগ আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে বলেই মনে করছে দলের বড় অংশ। তবে, মন্দের ভালো, তাঁকে টিকিট না দেওয়ার যে সাময়িক ‘আশঙ্কা’ তৈরি হয়েছিল, কেন্দ্র বদল হলেও তা আর রইল না!
আরও পড়ুন: বাংলায় দ্বিতীয় দফায় ১৯ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি
Be First to Comment