অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। জানা যায়, তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরা। তবে, পুলিশি বাধার মুখে পড়ে তাঁরা আর রাজভবনে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর দাবি, পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। যে কারণে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেছেন যে দেশে যখন জরুরি অবস্থা জারি ছিল তখনও এমনটি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফ্যাসিবাদী রূপ’ উন্মোচিত। শুক্রবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি ও ‘আক্রান্ত’রা। এ নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন।
রাজভবনের অনুমতি সত্ত্বেও আক্রান্তদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। রাজভবনের একটু আগে শুভেন্দুর কনভয়কে পুলিশ বাধা দেয়। বিরোধী দলনেতাকে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে অপেক্ষা করতে হয়। সেখান থেকেও তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন।

শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যপালের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছেন। তাদের তরফে বলা হয়েছে, রাজভবনের বাইরের এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে। তাই এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই।
শুভেন্দু জানান,”রাজ্যপালের কাছে আমরা আক্রান্ত নিয়ে দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলাম। ওঁর অফিস থেকে আমার সচিবকে বলা হয়, আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল । মমতার পুলিশ, মমতার ভৃত্য বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে চারদিকে ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করেছে। আমার মনে হয়, ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার সময়ও এ জিনিস হয়নি। বিরোধী দলনেতাকে ১ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছে। আমি মমতার মতো ভাঙচুরের রাজনীতি করি না। আমি এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। রাজ্যপালের আপ্তসহায়ককে মেসেজ করেছি। রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, রাজভবনের বাইরের রাস্তা পুলিশের দায়িত্বে। রাজ্যপাল মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওঁর আপ্তসহায়ক।”



Be First to Comment