শিলিগুড়ি: শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ির কাওয়াখালির মাঠে সরকারি কর্মসূচিতে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর জনসভার মঞ্চে উঠেই তিনি বললেন, ‘চা বাগানবাসী, শ্রমিকদের চাওয়ালার প্রণাম’।
এ দিন উঠেই বাংলায় মোদী বললেন, “আমার প্রিয় মা, ভাই, বোন, দাদা, দিদিদের সাদর নমস্কার জানাই।” একইসঙ্গে মোদী বলেন, “চা বাগানে কর্মরত সকল শ্রমিক, তাঁদের পরিবারকে এই চাওয়ালার প্রণাম।”
এর পর একের পর বাক্যবাণ নিক্ষেপ করলেন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে। বললেন, “পাহাড়কে গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল। ওরা জমি দখল করতে ব্যস্ত ছিল। বিনামূল্যে রেশনের সুবিধাও পেতে দেয় না তৃণমূল সরকার। এঁদের মন্ত্রীই রেশন কেলেঙ্কারি করে।”
এমনিতে একশো দিনের টাকা নিয়ে সরগরম রাজ্য়-রাজনীতি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার তোলাবাজদের পয়সা দেওয়ার জন্য ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে রেখেছে। মোদী সরকার গরিবের টাকা আটকে যাবে ভেবে সেই টাকাও দিয়ে দেয়। প্রতিপদে বাংলার মানুষের টাকা লুট করছে তৃণমূল। “
ধরে ধরে কেন্দ্রের প্রায় প্রতিটা প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবের কথা তুলে ধরলেন মোদী। বললেন, “এখানকার সমস্যা প্রথমে বামেরা শোনেনি। পরে তৃণমূলও সরিয়ে রেখেছে। এরা তো গরিবের জমি দখলে ব্যস্ত। সে কারণে আপনারা যখন আমাকে সুযোগ দিলেন, আমি আমার পরিবারের সব সদস্য মানে আপনাদের সেই সুবিধা দিয়েছি। তৃণমূল সরকার উজ্জ্বলার সুবিধা পেতে দেয় না, ১৪ লক্ষ মহিলাকে এই রান্নার গ্যাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। এখন রান্নার গ্যাস আরও ১০০ টাকা সস্তা করে দিয়েছি।”
নিজের বক্তৃতা শেষ করার আগে মোদী বলেন, “বাংলার কোনা কোনা থেকে শোনা যাচ্ছে অবকি বার ৪০০ পার। দলিত আদিবাসী মহিলা বিরোধী তৃণমূলকে তাড়ানোর দরজা লোকসভা ভোট থেকেই খুলবে। তাই উত্তরবঙ্গের প্রতিটা আসন পদ্ম ফোটাতে হবে। ফুটবে তো? আমার আরও একটা কাজ করতে হবে। আপনারা ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন মোদীজী এসেছিলেন, প্রণাম পাঠিয়েছেন আপনাদের জন্য। আমাদের সংকল্প বিকশিত ভারত।”
Be First to Comment