কড়া নিরাপত্তা আরজি করে। ছবি: রাজীব বসু
অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরেক মোড়। সূত্রের খবর, নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (সিবিআই) বলেছেন যে, হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্ন এবং চিকিৎসক এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক পুলিশকে গ্রেফতারও করা হয়। এখন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।

এনডিটিভি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, এক সিবিআই অফিসার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “অভিভাবকরা আমাদের বলেছেন যে তাঁরা নিজেদের মেয়ের যৌন নির্যাতন এবং হত্যার পিছনে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন। তাঁরা হাসপাতালে তাঁদের মেয়ের সঙ্গে কাজ করা কয়েকজন ইন্টার্ন এবং ডাক্তারের নাম দিয়েছেন”।
সিবিআই এই সব ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের যে সব অফিসাররা প্রাথমিক তদন্তের অংশ নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা চলছে। ওই সিবিআই আধিকারিক বলেন, “আমরা অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি”।
জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার রাতে যে ওয়ার্ড বয় , নার্সিং স্টাফ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, যাঁরা সেই রাতে ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ৯ জনকে তলব করে
হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় সিবিআই। মৃতদেহ পাওয়ার দুদিন পরেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। গত ৯ আগস্ট হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়।




Be First to Comment