কলকাতা: জাতীয় সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য কলকাতা পুলিশ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের। এক যৌথ অভিযানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিন (টিইউএম)-এর সন্দেহভাজন সদস্য জাভেদ মুন্সিকে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে প্রবেশের পরিকল্পনা করছিলেন এই কুখ্যাত জঙ্গি, যাঁর সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে।
জাভেদ মুন্সি একজন আইইডি (IED) বিশেষজ্ঞ এবং অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে বহু জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। ২০১১ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশিষ্ট নেতা শওকত শাহের হত্যার জন্য তাঁকে সন্দেহ করা হয়। এর আগে একাধিকবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর গতিবিধি নজরে রেখেছিল এবং কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তাঁর চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। যে বাড়িতে জাভেদ এসেছিলেন, তিনি ওই ব্যক্তির সম্পর্কে জামাইবাবু হন। সেই সূত্র ধরেই তিনি এখানে এসেছিলেন।
শনিবার রাতে ক্যানিং হাসপাতাল চত্বর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। জেরার সময় তিনি স্বীকার করেছেন যে জাল পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে এর আগেও নেপাল, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে যাতায়াত করেছেন। পাকিস্তানে জঙ্গির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাভেদ। তাঁর কাছ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত নথি এবং জেহাদি সাহিত্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসব নথি বিশ্লেষণ করে তাঁর নেটওয়ার্ক সম্পর্কে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

জাভেদ মুন্সিকে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। পরে তাঁকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কোনো স্লিপার সেল তৈরির চেষ্টা করছিলেন কি না এবং স্থানীয় অপারেটিভদের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ ছিল কি না।




Be First to Comment