ঋভু সেন: গত সপ্তাহের শেষ দিক থেকে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর জলস্তর। এর পাশাপাশি, দফায় দফায় জল ছাড়ছে ডিভিসি। নিম্ন দামোদর এলাকায় বাড়ছে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে হুগলি জেলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি। এভাবে চললে প্লাবিত হতে পারে হাওড়ার বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকাও।
ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে আগেও ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ ডিভিসি জল ছাড়লে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা একাধিক জেলায়। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি নদীর জলস্তরই বেড়েছিল। ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি নদীর জলস্তরই বেড়েছিল। এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বাংলার সব জেলাতেই আগামী কয়েক দিন কম-বেশি বৃষ্টি চলবে। বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গের ওপর হয়ে অসম পর্যন্ত সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই কারণে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা অসমের পাশাপাশি বেশকিছু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এই সক্রিয় মৌসুমী রেখার প্রভাব পড়বে বাংলার উপরও।

সবমিলিয়ে চিন্তায় রাখছে একাধিক জেলার এই বন্যা পরিস্থিতি। মঙ্গলবারও দেখা গেল, আরামবাগ ডানকুনি রুটে নানা জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টি তো প্রচুর হয়েছেই। তার উপর ডিভিসির জলও আসছে। এবার এটা হাওড়ায় ঢুকবে। সেক্ষেত্রে আমতা উদয়নারায়ণপুরকেও ভাসাবে বলে আশঙ্কা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নিম্ন দামোদর অববাহিকার দরুন ডিভিসির জল সবার আগে এখানেই প্রভাব ফেলে।

ভরসা বলতে একটাই, আপাতত জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর কথা জানিয়েছে ডিভিসি। সূত্রের খবর, শনি ও রবিবার ১ লক্ষ কিউসেকের বেশি করে জল ছাড়ার পর সোমবার জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমিয়েছে ডিভিসি। গতকাল ৪৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। কিন্তু ইতিমধ্যেই নিম্ন দামোদর অববাহিকার একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দামোদরের বাঁধ টপকে জল ঢুকছে হুগলি ও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়।




Be First to Comment