অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশি নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। রবিবার অভিষেকের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশি চলেছিল। তা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সোমবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার দলীয় প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার সমর্থনে কোচবিহারের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ভোটের আগে দুয়ারে দুয়ারে সিবিআই, ইডি পাঠাচ্ছে। আইটি পাঠাচ্ছে। গতকাল অভিষেকের কপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছে। ওখানে কী পাবে ভেবেছিল? সোনা? আমরা ওসব করি না। আমাদের টাকা, সোনা নেওয়ার দরকার নেই। কোনো দরকার হলে আমরা মায়ের কাছে হাত পাতব।”
রাসমেলা ময়দানের সভা থেকে মমতার কটাক্ষ, “অভিষেকের কপ্টারে কাল তল্লাশি চালিয়েছে। কপ্টারে নাকি সোনা, টাকা আছে। কী ভেবেছিল? কপ্টার থেকে সোনা পাবে? এসব আমরা করি না। বিমানে ওদের টাকাপয়সা আসে। ওখানে বিএসএফ, সিআইএসএফ আছে। কোনো দিন কোনো বিজেপি নেতার কপ্টারে তল্লাশি চালানোর সাহস হয়েছে তাদের?”

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীদের আটকে তাঁর কপ্টার তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হয়। এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক এই ঘটনায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘‘এনআইএ-র ডিজি এবং এসপিকে সরানোর বদলে আজ নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি তাদের ধামাধারী আয়কর দফতরের আধিকারিকদের পাঠিয়েছিল আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালাতে। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। কারণ, কিছুই পাওয়া যায়নি।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোটপ্রচারে হলদিয়ায় যাওয়ার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার পরিদর্শনে গেলেন খোদ নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াডের তিন সদস্য। সোমবার দুপুরে বেহালা ফ্লাইং ক্লাবে ওই হেলিকপ্টারে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। একটি গাড়িতে চেপে কমিশনের তিন প্রতিনিধি সেখানে আসেন। তাঁরা জানান, তাঁদের সেখানে যেতে বলা হয়েছিল। যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, এই তল্লাশির কাজ শুধু অভিষেক নয়, নির্বাচনের সময় সব নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে।




Be First to Comment