কলকাতায় ধর্নামঞ্চে মমতা ও শত্রুঘ্ন। ছবি: রাজীব বসু
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার পর আসানসোল উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিন্হাকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই প্রথম বারের জন্য আসানসোল লোকসভায় ‘জোড়াফুল’ ফুটেছিল উপনির্বাচনে। এ বারের লোকসভা ভোটেও তাঁকেই আসানসোলে প্রার্থী করছে বাংলার শাসকদল।
শুক্রবার থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে ধর্না শুরু করেছেন মমতা। ধর্নার মাঝে সেখানেই পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিদি। সেখানেই জানিয়ে দেন, আসানসোলে প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন। সূত্রের খবর, দলের পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে এই কথা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার ধর্নামঞ্চে ছিলেন আসানসোলের সাংসদও। তিনি বলেন, ‘‘রামকে আমরাও শ্রদ্ধা করি। আমাদের বাড়ির নাম রামায়ণ। আমরা চার ভাই। আমাদের নাম রাম, লক্ষ্মণ, ভরত এবং শত্রুঘ্ন। কিন্তু রামকে নিয়ে এই রকম রাজনীতি কখনও হতে দেখিনি।’’ শত্রুঘ্ন আরও বলেন, ‘‘আমি ২৭ বছর বিজেপি করেছি। বাজপেয়ীজিকে দেখেছি। তিনি ছিলেন সদ্ভাবনার সাগর।’’
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসানসোলে শত্রুঘ্নকে এ বারও দাঁড় করিয়ে দিলে সেটা বেশ চ্যালেঞ্জের হবে গেরুয়া শিবিরের কাছে। শত্রুঘ্ন সিনহা বিহারের ‘ভূমিপুত্র’ হওয়ায় একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলের এই লোকসভায় হিন্দিভাষীদের আধিক্য রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে সম্প্রতি রামমন্দির উদ্বোধনের পর রাম আবেগ কাজ করছে বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকের মত। আসানসোলের মতো হিন্দিভাষী এলাকায় রাম আবেগকে মোকাবিলা করতে শত্রুঘ্নেই ভরসা রাখছেন মমতা।
এ ছাড়াও শত্রুঘ্নকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়। অনেকের মতে, এমনকী জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজও করেছেন বিহারীবাবু। এখানের মানুষের সঙ্গে সরাসরি তাঁর সংযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর উপনির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলেন বিহারীবাবু। তিনি পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৫৮টি ভোট। যেখানে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৪৯টি ভোট। তার আগে অবশ্য দু’বার এই কেন্দ্র ছিল বিজেপির দখলে। তারকা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় পর পর দুবার এখান থেকে জিতেছিলেন। বিজেপির হাত থেকে কেন্দ্রটি পুনরুদ্ধার করতে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা।
Be First to Comment