Press "Enter" to skip to content

তৃণমূলে গিয়েছিলেন কেন? বিজেপিতে ফিরে জানালেন অর্জুন সিং

নয়াদিল্লি: বিজেপিতেই ফিরলেন ব্য়ারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। জানালেন, কেন ২০১৯-এ পদ্মপ্রতীকে জিতেও তৃণমূলে গিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দিল্লিতে তাঁরই সঙ্গে বিজেপি-তে যোগ দিলেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।

বিজেপি সাংসদ থাকাকালীন আনুষ্ঠানিক ভাবে ২০২২ সালের মে মাসে তৃণমূলে যোগ দেন অর্জুন। তবে, খাতায়-কলমে তিনি বিজেপি সাংসদ হিসেবেই রয়ে যান। এ দিন আবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘২০১৯-এ আমি সাংসদ হয়েছিলাম। ২০২১-এ বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী হিংসা হয়েছে, তা সকলে দেখেছেন। পঞ্চাশের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। আমার কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিপীড়িত হয়েছেন। দলের কর্মীদের বাঁচানোর জন্য আমাকে সাময়িক সময়ের জন্য দলবদল করতে হয়েছিল। খুব কষ্ট করে তাঁদের রক্ষা করতে হয়েছে। তবে বাংলায় তৃণমূলের সরকারের এসব নিয়ে কিছু আসে যায় না।’’

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকে বাংলার ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। দেখা যায়, প্রার্থীতালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সে দিন থেকেই কার্যত বিদ্রোহ শুরু করেন তিনি। শোনা যায়, বিজেপিতেই প্রত্যাবর্তন করতে পারেন। এর পর, নিজের অফিসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে সেখানে নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখেন অর্জুন। বুধবার সাফ জানিয়ে দেন, তিনি ব্যারাকপুরেই লড়বেন।

অন্য দিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আজ আমার জন্য খুব শুভ দিন। আমি আজ বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলাম। আমাদের নেতা মোদীজি সারা দুনিয়ার নেতা। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই দলে যোগ দিয়েছি।”

সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এ দিন সরব হন অর্জুন ও দিব্যেন্দু। অর্জুন বলেন, “পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে অত্যাচার করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” বাংলার মতো অত্যাচার গোটা বিশ্বে কোথাও হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি। আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই বাংলার উত্থান হবে।

More from রাজ্যMore posts in রাজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *